গুগল ম্যাপ বলছে, দু’টি জায়গার মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব ১০৫ কিমি। কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা! কলকাতা থেকে এতদূরেই বেড়ে ওঠা জয়া নন্দীর৷ মুখের কথা নয়, হেলাফেলা করার মতও বিষয়টা নয়। তবু তিনি করে দেখিয়েছেন, মফস্বলের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও ঠিক নিজের পরিচিতি তৈরি করছেন টলিউডে।
আরও পড়ুনঃ শোলে-র ডায়লগ আউড়ে শীতলকুচিকাণ্ডে তোপ, সায়ন্তনকে নোটিস কমিশনের
মফস্বল থেকে উঠে আসা সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে যাওয়ার পথে যে টুকরো গল্প থাকে, সেই গল্প, সাক্ষাৎকার হামেশাই তুলে আনি আমরা। আজ রইল জয়া নন্দীর গল্প! কৃষ্ণনগরে বেড়ে ওঠা এক মেয়ের মুখে নিজের প্রাপ্তি, ভবিষ্যত ভাবনার গল্প৷

প্রশ্ন: নমষ্কার, আপনার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, আপনি মডেলিং করছেন এইমুহূর্তে৷ তবে এর চেয়ে বেশি জানি না আমরা। জানতে চাইব, এই মুহূর্তে কী কী কাজ করছেন, এর আগে কী কী কাজ করেছেন আপনি৷
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে বদলাতে পারে ভোটের দিন
জয়া: প্রথমেই বলি, আমি কিন্তু মোটেও বহুদিন ধরে কাজ করছি না। লকডাউনের পরে শুরু করেছি। এরপরেই আস্তে আস্তে কাজ পাওয়া, অভ্যস্ত হওয়া। অ্যানা’স স্টাইল ক্রিয়েশনের হয়ে কাজ করেছি। তাছাড়া ২০২২ সালের SRL Motion Pictures এর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসে আমি রয়েছি। আর সর্বজিৎদার একটি গানে আমি রয়েছি। Zee মিউজিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে যে গানটি আপনাদের সামনে আনতে চলেছেন সর্বজিৎ, সেই একটা গানে আমি রয়েছি।
প্রশ্ন: সবেমাত্র শুরু করেই সর্বজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার! কেমন লাগল ব্যক্তি সর্বজিৎ-এর সঙ্গে কাজ করে?
জয়া: এককথায় দারুন। আমি প্রথমেই বললাম, খুব একটা বেশিদিন ধরে কাজ করছি না আমি। কিন্তু এই কম সময়েতেই সর্বজিৎ আমাকে প্রচণ্ড হেল্প করেছে। একজন দাদার মত গাইড করেছে। কোথায় কাজ করা উচিত হবে, এরপরে কীভাবে নিজেকে তৈরি করা উচিত এসব নিয়ে আমাকে পথ দেখিয়েছে৷
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব শিল্পকলা দিবসে সৌমিতার ফ্রিডম অফ আর্ট
প্রশ্ন: অর্থাৎ বেশ ভালোই চলছে জীবন। তো এরপর? ভবিষ্যত ভাবনা নিয়ে যদি আমাদের পাঠকদের কিছু বলেন।
জয়া: আমি এইমুহূর্তে মডেলিং করছি ঠিকই৷ তবে শুধু মডেল হয়েই থেমে থাকতে চাই না৷ আমার মূলত অভিনয়ে বেশি আগ্রহ। লকডাউনের আগে থেকেই আমি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। বহুরুপী নামক একটি দলের সদস্য আমি। ওদের হয়েই একাধিক নাটক মঞ্চস্থ করেছি৷
প্রশ্ন: আপনি বললেন অভিনয়ে আগ্রহ রয়েছে৷ নিশ্চই এমন কেউ রয়েছেন যাঁকে দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন?
জয়া: বিন্দুমাত্র ভাবতে হবে না আমাকে৷ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ She is Awesome! শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়। ওঁর প্রত্যেকটা বিষয় ভালো লাগে আমার।
আরও পড়ুনঃ করোনায় জেরবার দেশ! দক্ষিণেশ্বরে মাস্ক ছা়ড়াই চলছে ১লা বৈশাখের পুজো
প্রশ্ন: আর টলিউডে? টলিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে দেখে অনুপ্রেরণা পান না?
জয়া: কেন পাবো না? প্রসেনজিৎ রয়েছেন৷ ওঁর কাজ খুব মন দিয়ে দেখি৷ যেভাবে গল্প বেছে কাজ করছেন, অসাধারণ।
প্রশ্ন: এ তো গেল আপনার মডেলিং, অভিনয় ইত্যাদি। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা? পড়াশোনা ভালোলাগে?
জয়া: আমি কিন্তু আইনের ছাত্রী৷ পড়াশোনা করতে ভালোবাসি৷ আইনবিদ্যা নিয়েই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আমি।
ধন্যবাদ জয়া। আপনার সকল ইচ্ছা পূর্ণ হোক, এই কামনা করি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post