সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ‘বাবা কা ধাবা’–র মালিক বৃদ্ধ দম্পতি কান্তা প্রসাদ এবং বাদামি দেবীর ছোট্ট খাবার দোকানে গ্রাহক ছিল হাতে গোণা তবে এখন চিত্রটা অনেক বদলে গেছে। শনিবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির মালব্য নগরের ওই ধাবায় পৌঁছে যান বেশ কিছু বড় বিজ্ঞাপন কোম্পানির কর্তারা, ওই ধাবার প্রচার এবং ধাবার সামনে বিজ্ঞাপন ব্যানারের জন্য। দোকানের সামনে বিজ্ঞাপনে মুড়ে গিয়েছে।
দোকানের উপচে পড়া গ্রাহক সামলাতে ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ এবং বাদামি দেবী একজন কর্মীকেও পেয়েছেন। কান্তা প্রসাদ বললেন, আগে সারা দিনে ৭৫০ গ্রাম ভাতও বিক্রি হত না তাঁর। অথচ বৃহস্পতিবার থেকে অর্ধ দিবসেই পাঁচ কেজি ভাত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
গৌরব ভাসান নামে এক ব্যক্তি বুধবার কান্তা প্রসাদ এবং বাদামি দেবীর জীবনকাহিনী তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন।ভিডিওয় কাঁদতে কাঁদতে কান্তা প্রসাদকে বলতে শোনা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৬.৩০ মিনিটে উঠে পরোটা, ডাল, দুতিন রকমের তরকারি এবং ভাত নিজেরাই বাড়িতে বানিয়ে সকাল ৯.৩০ নাগাদ ধাবা খোলেন। সকাল ৯.৩০ থেকে গত চার ঘণ্টায় মাত্র ৫০ টাকা রোজগার করতে পেরেছেন। সারা দিনে ৩০–৫০টি প্লেটের বেশি খাবার বিক্রি করতে পারেন না তাঁরা। দিনের শেষে যা আয় হয় তার অর্ধেকই আগামী দিনের খাদ্যসামগ্রী কিনতে বেরিয়ে যায়। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে, কেউ তাঁদের দেখভাল করে না। গৌরবের ওই ভিডিও বুধবার রাতেই বসুন্ধরা তন্খা শর্মা নামে আরেক নেটিজেন পোস্ট করে সবাইকে ওই দম্পতির দোকানে খেয়ে তাঁদের সাহায্য করতে অনুরোধ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কান্তা প্রসাদ এবং বাদামি দেবীর বাবা কা ধাবা জনপ্রিয় তার শীর্ষে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post