মহম্মদ নাজিম আক্তার,মালদা,১১ জানুয়ারি:
জনবহুল এলাকায় নেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা ও বেহাল রাস্তার সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে বাসিন্দারা।একাধিক দাবি নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ অবস্থান চলল বিজেপির।সোমবার মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লকের ক্ষেমপুর পঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে তেতে উঠে ক্ষিপ্ত জনসাধারণও।বিজেপির নেতৃত্বেই এই কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকার মানুষ জড়ো হয় পঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে। প্রায় দুই ঘন্টা ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে।পরে পাঁচজনের প্রতিনিধি দল প্রধানের দপ্তরে গিয়ে এলাকার একাধিক দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেন।দীর্ঘক্ষন আলোচনার পর সাত দফা দাবির ডেপুটেশন তুলে দেওয়া হয় ক্ষেমপুর জিপির প্রধান সম্পা রানী সিনহার হাতে।আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার কথা অস্বীকার করলে অন্যান্য দাবিগুলি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান সম্পা রানী সিনহা।
মূলত ক্ষেমপুর অঞ্চল আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা।প্রায় তিনশো-রো বেশি বিভিন্ন গ্রামের মানূষ বিক্ষোভে সামিল হয়।ঢাকঢল থেকে শুরু করে আদিবাসী নৃত্যেও চলে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত থাকলেও পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এদিন বিক্ষোভকারী আদিবাসী বধূ অশোকা কিসকু অভিযোগ করে বলেন,আমাদের কালিগঞ্জ গ্রামের রাস্তা বেহাল,সংস্কারের হেলদোল নেই কারোও।তাছাড়া এলাকায় জলের অভাব।জনবহুল এলাকাতে পর্যাপ্তপরিমানে সাব-মার্সিবল বসেনি গ্রামে।
চড়ুলমনি গ্রামে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধার অভিযোগ,উপার্জন কারী কেউ নেই আমার।স্বামী দাদনে গিয়ে কাজ করত।বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে গ্রামেই থাকতে হচ্ছে।১০০ দিনের কাজ মেলেনা।মিলেন আবাস যোজনা সহ কোনো ভাতা।পরিপ্রেক্ষিতে আজকে বিজেপির ডেপুটেশনে সামিল হয়েছি বলে জানিয়েছেন তিনি।
গোটা ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির ১৬ নং জেলাপরিষদ মন্ডল সভাপতি ত্রিবেনী সাহা।তিনি বলেন,প্রধান নিজ ইচ্ছামতো কাজ করছে পঞ্চায়েতে।এলাকায় বেশিরভাগই রাস্তা কাচা।জলের ব্যবস্থা বলতে হাতেগোনা কিছু সাব মার্সাল।রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইলেও ক্ষেমপুরে ছোঁয়া পড়েনি বলে দাবি তার।
এছাড়াও ত্রিবেনির অভিযোগ,প্রধানের গরহাজিরে এলাকাবাসী নানান কাজে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
মমতা ব্যানার্জী সারা রাজ্যে উন্নয়ন করছে।বিজেপির চোখে পড়ে না সেই উন্নয়ন।পথশ্রী প্রকল্পের কাজ চালু হয়েছে।চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সারা রাজ্যে বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতা তথা মালদা জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন।বিজেপির সাধারণ মানুষ লেলিয়ে দিয়ে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ করাচ্ছে বলে অভিযোগ রফিকুলের।
তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ,বৃদ্ধাদের ভাতা নেই,রাস্তা পাকা রাস্তা ও জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সমস্যার সূরাহা না হলে পরবর্তীতে আরোও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি সহ ক্ষেমপুর আঞ্চলের বাসিন্দারা।
Discussion about this post