গড়িয়া পাটুলির ২২ বছরের একটি মেয়ে মনা দাস। যে আজকে প্রতিষ্ঠিত একজন মেকআপ আর্টিস্ট। ইন্ডাস্ট্রিতে যাকে এক ডাকে সবাই চেনে। ২৪x৭ নিউজ বেঙ্গলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আমাদের প্রতিনিধি পৃথা মণ্ডলকে জানালেন তার অজানা কিছু কথা।
কত বছর হল এই প্রফেশনে কাজ করছেন?
– তিন বছর ধরে এই প্রফেশনে কাজ করছি।
আরো পড়ুন ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৫১ হাজার, নিম্নমুখী সংক্রমণেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘ডেল্টা প্লাস’
কিভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে পদার্পণ করা?
– একজন ফটোপত্রকার দাদার হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার প্রথম পদার্পণ করা। এই দাদা আমার নিজের দাদার থেকেও অনেক বেশি আমার কাছে।
আরো পড়ুন কখন ও ভাবিনি অভিনয় করব ! কি করে ইন্ডাস্ট্রিতে এলাম এখনও আমার কাছে রহস্য !
এত রকমের প্রফেশন থাকতে মেকআপ আর্টিস্ট এর প্রফেশনকে কেন বেছে নিলেন?
– ছোট থেকে সাজতে ভালবাসতাম না কিন্তু অ্যাড সাজাতে ভালবাসতাম খুব। আর আমার ছোটো থেকেই ইচ্ছে ছিল এই মেক-আপ আর্টিস্টের প্রফেশন নিয়ে এগোব।
আরো পড়ুন আমার বউ চুরি গেছে, বউকে খুঁজে দেওয়ার আর্জি নিয়ে থানায় স্বামী
এই কাজে কার বেশি সাপোর্ট পেয়েছেন?
– সেই রকম ভাবে কারোর সাপোর্ট পাইনি। বাবার অনিচ্ছাতে তবে মায়ের কিছুটা সাপোর্ট ছিল। আর ছিল আমার এক বন্ধু। কারণ সেই সময় আমার পড়াশোনা শেষ হয়নি। আজ আমি যতোটুকু সাকসেস পেয়েছি তাঁর মধ্যে আমার মায়ের আর বন্ধুটির অবদান আছে।
এই প্রফেশনে অনেক রকম ভাল খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে, সেই ব্যাপারে কি বলবেন?
– প্রথম প্রথম বেশিরভাগ মানুষ খুবই খারাপ ব্যবহার করেছে আমার সাথে। অনেকে বলেছে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে কাজ করতে গেলে অনেক রকম কম্প্রোমাইজ করতে হয়। আগে অনেক খারাপ খারাপ কথার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। কিন্তু তাদের মধ্যে এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষ আছে যারা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছে। তার জন্যই আজকে আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
আরো পড়ুন সত্যিই প্রয়োজনীয়? নাকি ক্ষতিকর? মুখোমুখি ইন্ডাস্ট্রির তিন তরুন মেক-আপ শিল্পী
এক সময় প্রথম প্রথম যারা আমাকে নিতে চাইত না, কাজের জন্য ফোন করলে যারা আমাকে বলতো ‘তোমাকে কাজ দেওয়া যাবে না বা দিলেও পেমেন্ট করতে পারবে না’, আজ তারাই আমাকে কাজ দেওয়ার জন্য ফোন করে। এই সব কিছুতে আরো সবার মতন আমার মা আমাকে খুব সাপোর্ট করেছে। মা সব সময় বলেছে ‘এই প্রফেশনে তুই এগিয়ে যা তোর পাশে আছি’।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post