প্রতীকী ছবি
কলকাতা: ফের করোনার থাবা কলকাতার স্কুলে (School)। এ বার, একটি নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হলেন এক শিক্ষক। আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ওই স্কুলের শিক্ষক প্র্যাকটিক্য়াল ক্লাস নিতেন। সম্ভবত, গত শনিবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই খবর জানাতেই তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও, এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, পড়ুয়া, শিক্ষক ও কর্মীদের একটি এসএমএসের (SMS) মাধ্যমে স্কুল বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ ফের খুলবে স্কুল। মাঝের সময়ে, গোটা স্কুলবাড়ি স্যানিটাইজ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই এসএমএসে। একইসঙ্গে, বন্ধ হচ্ছে সমস্ত অফলাইন ক্লাস। আপাতত, ২৯ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনেই চলবে পঠনপাঠন। স্কুলে, গত শুক্রবার পর্যন্ত উপস্থিত থাকা সকল কর্মী ও পড়ুয়াদের কোভিড টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, নিউ নর্মালে স্কুল খোলার পরেই বিপত্তিতে পড়েছিল কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুল। সেখানেও করোনা আক্রান্ত হন এক শিক্ষক এবং দুজন শিক্ষক জ্বরে পড়েন। তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। এ বার সেই একই ছবি শহরের আরও এক নামী বেসরকারি স্কুলে।
প্রায় এক বছর পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি গাইডলাইন মেনে খুলেছিল স্কুল (School)। মূলত, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যই পঠন পাঠন চালু হয়েছিল। স্কুল খুললেও খোলা হয়নি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। স্কুলে আসতে গেলে কী কী নিয়ম মানতে হবে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। প্রত্যেকটি স্কুলের নোটিস বোর্ডে থাকতে হবে গাইডলাইন। মাস্ক ছাড়া কোনও শিক্ষক কিংবা শিক্ষাকর্মী স্কুলে ঢুকতে পারবে না। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। জ্বর কিংবা অন্য কোনও শারীরিক সমস্য রয়েছে কিনা তা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তপক্ষকে জানাতে হবে অভিভাবকদের। সমস্যা থাকলে নুন্যতম সাতদিন ওই পড়ুয়াকে বাড়িতেই থাকতে হবে। ফিট সার্টফিকেট জমা দেওয়ার পরেওই স্কুলে ফের আসতে পারবে পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, শনিবারই সংক্রমণের ভয় বাড়িয়ে রাজ্যে নতুন করে ৩৮৩ জন করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ৮০ হাজার ২০৯। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৪৬৩। সূত্রের খবর, রাজ্যে শনিবারে আক্রান্ত ৩৮৩ জনের মধ্যে ১২৫ জনই কলকাতার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে সংক্রমণ, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, কোভিড বিধি কড়াভাবে পালনের নির্দেশ
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post