নিজস্ব চিত্র।
নদিয়া: মর্মান্তিক পরিণতি ন’ বছরের শিশুর। কার্টুন দেখতে দেখতে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যুর ঘটনা। পরিবারের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস লেগে যায় ছোট্ট সামিরুল শেখের। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। নদিয়ার গোটপাড়া মসজিদ এলাকায় এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সামিরুলের পরিবারের দাবি, ঘরে একা বসেই টিভিতে কার্টুন দেখছিল ছোট্ট সামিরুল। সেই সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না। অনেকক্ষণ ছেলের কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে মা উঁকি দেন ঘরের ভিতর। দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুটি। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গোটপাড়া নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সামিরুল। বাবা মাজিরুল শেখ জনমজুরের কাজ করেন। খুবই দরিদ্র পরিবার। অতিমারির কারণে পরিবারের আয়ও একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। আর্থিক অনটন সত্ত্বেও সন্তানদের যত্নে কোনও কার্পণ্য করতেন না তিনি। মাজিরুলের আরও এক সন্তান রয়েছে। এদিনের ঘটনায় হাসপাতালে ভেঙে পড়েন বাবা। হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সামিরুলের দাদুও। যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের। সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: নবান্নে যাওয়ার আগে হঠাৎই কালীঘাটে টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনে গাড়ি থামল মমতার, সটান ঢুকে গেলেন ভিতরে…
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post