সল্টলেক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বিধান নগরে। সকালের পর রাতেও ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের লোকজনই আক্রান্ত হয়েছে। রাত পেরোলেই এখনও অব্যহত রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধান নগর দক্ষিণ থানা এলাকার দত্তাবাদ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অপরদিকে তৃণমূল কর্মীদেরকেও মারধরে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাত আটটা নাগাদ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দল দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া বাইক রাতে আটক করে পুলিশ। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। এলাকায় টহলদারী চালাচ্ছে পুলিশ।
সুনীতা মণ্ডল নামে স্থানীয় এক মহিলা জানান, রাত ৮ টা নাগাদ এলাকার মহিলারা যখন বসেছিলেন, তখন চার পাঁচটি বাইক নিয়ে এসে ফায়ারিং করে দুষ্কৃতীরা। যারা এসেছিল তারা তৃণমূলের লোক বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এই ঘটনায় এলাকার মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election 2021 Live: আজ ফের রাজ্যে শাহ, থাকবেন পরপর তিন সভায়
এ দিকে এই ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূলের নিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী সুজিত বসু। দুষ্কৃতীরা তাঁর একসময়ের সহকর্মী তথা বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচীর অনুগামী বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজিত বসু বলেন, ‘যাদের বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে তারা অভিযোগ জানিয়েছে। সব্যসাচীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা আছে। তারাই এই ভাবে ভাঙচুর চালিয়েছে।’ প্রশাসনের কাছে তাঁর দাবি, তৃণমূল সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি দত্তাবাদের সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post