ফাইল চিত্র
তারকেশ্বর: “আজ আমার মিটিংয়ের ১৫ কিলোমিটার দূরে মিটিং করছে। কী সব উল্টোপাল্টা বলবে। প্রথমেই বলবে সুনার বঙ্গাল। তুমি আমার বাংলাকে অপমান করবে কেন? অসম্মান করবে কেন?” তারকনাথের শরণে যখন সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), তখন তার তার কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার পরে ধাপে বিজেপি সাংসদদের বিধানসভায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে টিপ্পনি করলেন তৃণমূল নেত্রী। তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) কে রাজ্যসভা থেকে নামিয়ে আনা নিয়ে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “তারকেশ্বরে প্রার্থী নিয়ে এল দিল্লি থেকে। কী দরকার ছিল? হেরে গেলে ও দিল্লি যাবে। ও এখনও নমিনেটেড মেম্বার। আর আমার ছেলে এখানের। ও কিন্তু এখানেই থাকবে।”
স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভা থেকে তারকেশ্বর বিধানসভা থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অনেকে বলছেন, হিন্দু ভোট তারকেশ্বরে এমনিই একজোট, স্বপন দাশগুপ্তের ধোপদুরস্ত ইমেজ এখানে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে স্বপন দাশগুপ্তকে নিয়ে মমতার আরও মন্তব্য, “মোদী এসে বললে ওই লোকটাকে (স্বপন দাশগুপ্ত) ভোট দিয়ে আসবেন না তো? ওই লোকটা শান্তিনিকেতনে গিয়ে কী সব করে এসেছে। মেলা, দোল বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আরও কিছু জানলেও বলব না।”
আরও পড়ুন: মমতাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী, খেলা শেষের বার্তা দিলেন দেব
কয়েক দিন আগেই হুগলির সাংসদ পদে বহাল থাকা অবস্থায় বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে আসার জন্য লকেটকে ‘বেচারা’ বলেছেন মমতা। আর এদিন শ্লেষের সুরে মমতা বলেন, “একজন তো গলার লকেট হয়ে বসে আছে।” শুভেন্দুর নাম না করেও, হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ তথা মেরুকরণের মুখ হিসেবে তাকেই সামনে রাখলেন মমতা। বললেন, “ওই শয়তান ছেলেটা যেটা বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে। ওর কথায় সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢোকানের অভিযোগ এনে মমতার বলেন, “মুজফফর থেকে ওরা বোমা এনেছে। বিহার থেকে গুন্ডা এনেছে। বয়ালের বুথের বাইরে পেট্রোল বোমা নিয়ে বসেছিল।”সভার শেষ লগ্নে মমতার বার্তা, “সারা পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে আছে এখানে। কারণ মোদী গণতন্ত্র মানে না।”
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post