ফাইল চিত্র
সুরশ্রী রায় চৌধুরী: দু’ দিনের দিল্লি সফরে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একবার কড়া বার্তা দিয়ে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই রাজ্যপালের দিল্লি সফর এবং তার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা নিয়ে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ সূত্রের খবর দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন জগদীপ ধনখড়৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে তাঁর৷
আরো পড়ুন বিশ্ব বিজ্ঞানীদের তালিকায় মেদিনীপুর সিটি কলেজের অধ্যাপক কুন্তল ঘোষ
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ফের একবার রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল৷ মু্খ্যমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি৷ পাশাপাশি গত ১৭ মে নারদ কাণ্ডে সিবিআই অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিরও সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল৷
আরো পড়ুন টেস্টের এক নম্বর দল হয়ে উঠল নিউজিল্যান্ড, পিছিয়ে ভারত!
সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে একটানা হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার ভঙ্গ, মহিলাদের সম্মানহানির মতো ঘটনায় আপনার নীরবতায় আমি ব্যথিত৷ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর এই ধরনের অত্যাচারের উদাহরণ স্বাধীনতার পর থেকে নেই৷’ রাজ্যপাল আরও অভিযোগ করেছেন এর আগে একাধিক বার এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তার কোনও জবাব তিনি পাননি৷
আরো পড়ুন Bell Bottom-এর মুক্তি সিনেমা হলে, কিন্তু কবে জানালেন Akshay…
শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে ক্যাবিনেট বৈঠকেও আলোচনা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল৷ যথারীতি পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তিনি৷ কোচবিহার, নন্দীগ্রাম এবং অসমের রনপাগলিতে বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় শিবিরে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জগদীপ ধনখড়৷ মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রয়োগের জন্য কেন এ ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হবে মানুষকে?’
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post