নিজস্ব চিত্র
বসিরহাট: স্বামীকে শিলনোঁড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করে দুই সন্তানকে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্ত্রীয়ের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) সোলাদানা ইটভাঁটার। মৃতের নাম জাকির হোসেন (২৭)।
বছর বাইশের আকলিমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বসিরহাটের পাতিলাচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেনের। দু’জনেই একই ইটভাঁটায় কাজ করতেন। ওখানকারই একটি ঘরে থাকতেন তাঁরা। সোমবার রাতে আচমকাই জাকিরের আর্তনাদ শুনতে পান অনান্য শ্রমিকরা। ঘরে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জাকির। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত। মেঝেতে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় জাকিরের। এই খবর শোনার পর দুই সন্তানকে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন জাকিরের স্ত্রীর।
তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সোমবার রাতে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সে সময় হাতে থাকা নোঁড়া দিয়ে জাকিরের মাথায় এলোপাথাড়ি মারেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় জাকির মাটিতে পড়ে গেলে, দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পুলিশ আকলিমার বয়ান খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই শক্তিশালী বোমা, নদিয়ায় এই কাণ্ডের তদন্তে দিশেহারা পুলিশও
এদিকে, জাকিরের পরিবারের বক্তব্য, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে আকলিমা অশান্তি করতেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি অথবা ইটভাঁটার ঘরে থাকার জন্য চাপ দিতেন তিনি। আকলিমার কথা মেনেই জাকির ইটভাঁটার ঘরে থাকা শুরু করেছিলেন। এই ঘটনার পিছনে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপার আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জাকিরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post