সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বাংলার বাড়ি, গ্ৰামীন সড়ক যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা। বিরোধীরা প্রায়শই দাবি করেন, একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে নিজেদের বলে চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন কেন্দ্রের ‘জলজীবন মিশন’। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘জলস্বপ্ন’। এবার এই প্রকল্পেও নজির গড়ল পশ্চিমবঙ্গে।
আরো পড়ুন ঈদ ও দুর্গা পূজা নিয়ে মন্তব্য করে কটাক্ষের স্বীকার মির্চি অগ্নি
তথ্য বলছে, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পে দেশের সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ১৪ জুলাই এই রেকর্ড গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা গিয়েছে, চার মাসে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য। মে মাসে সেই সংখ্যাটা ৪১ হাজার ১১৭। জুন মাসে ৮২ হাজার ৮২৮ এবং জুলাই মাসে এখনও পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৩৭৪টি বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পে ৫৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত গ্ৰামের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। দিতে উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার।
আরো পড়ুন মোবাইল ছেড়ে ল্যান্ড ফোন ধরুন, পেগাসাস কাণ্ডের পর নির্দেশ সরকারি কর্মীদের
একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় গিয়ে বারবার এই প্রতিশ্রুতিও দিতে শোনা গিয়েছে মোদী-শাহকে। কেন্দ্রের এহেন ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পের নামও বদলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘জলস্বপ্ন’। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘এই প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্য দেবে ৫০ শতাংশ টাকা এবং রাজ্য দেবে ৫০ শতাংশ টাকা। কেন্দ্র পুরো টাকা না দিলে, কেন তাঁদের দেওয়া নাম ব্যবহার করব?’
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post