নিজস্ব চিত্র
হাওড়া: বচসা আর তার জেরে প্রেমিকের শরীর ব্লেড দিয়ে চিড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকা ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ল রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকড়ার পেয়াদাপাড়ার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বছর একুশের শেখ আফসার আলির সঙ্গে পাশের মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা নাজ খাতুনের সম্পর্ক ছিল। বছর খানেক আগে তাঁদের পরিচয়। এরপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, দু’জনকেই প্রায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করতে দেখা যেত।
মঙ্গলবার রাতে শেখ আফসার আলি স্থানীয় ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় তাঁকে বটতলা এলাকায় ফোন করে ডাকেন নাজ খাতুন। কিছুক্ষণ পর তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখন নাজ তাঁর দাদাকে ফোন করে ডাকেন। এরপর হঠাৎই নাজ আফসারকে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করেন। তাঁর দাদাকেও দেখা যায় একইভাবে আফসারের শরীরে ব্লেড দিয়ে আঘাত করতে। গোটা ঘটনাটাই রাস্তার ধারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
আফসারের বুক এবং ডান হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। আফসারের চিৎকারেই স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। আফসারের বুকে পাঁচটি এবং হাতে দশটি সেলাই পড়েছে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আক্রান্ত যুবক বাঁকড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ নাজের দাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ইদানিং আফসার ও নাজের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। আফসার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। তাতেই চটে যান প্রেমিকা। প্রতিশোধ নিতেই এই আক্রমণ।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post