সুরশ্রী রায় চৌধুরী: নন্দীগ্রাম থেকে হাফ লক্ষ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করবেন শুভেন্দু অধিকারী এ কথা আগেও বলেছেন। আবারও সেই একই কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘নন্দীগ্রামে আমি ওঁকে হারাব৷’ তাহলে তিনিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হচ্ছেন, সেই জল্পনা নিজেই উস্কে দিলেন শুভেন্দু৷
এ দিন উত্তর কলকাতার হৃষিকেশ পার্কে বিজেপি-র সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘উত্তর কলকাতার সাতটি আসনেই বিজেপি-কে জেতাতে হবে৷ কাশীপুর, বেলেঘাটা, শ্যামপুকুর থেকে শুরু করে চৌরঙ্গী, সবকটায় আমরা জিতব৷ আমি তো সুকিয়া স্ট্রিটে থাকি, বার বার আসব৷ আর দক্ষিণ কলকাতাতেও আমরা জিতব৷ ভবানীপুরেও আমরা জিতব৷ সেই জন্যই তো ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন৷ নন্দীগ্রামে আমি ওঁকে হারাব৷ হাফ লাখ ভোটে উনি হারবেন৷’
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকেও বিজেপি সেখান থেকে প্রার্থী করে কি না, তা নিয়ে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ তৃণমূল নেতারাও চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, সাহস থাকলে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ুন শুভেন্দু৷ যদিও শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দাবি করেছেন, কে কোথায় প্রার্থী হবেন, বিজেপি-তে তা দলীয় নেতৃত্ব ঠিক করে৷ ফলে তাঁর পক্ষে এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়৷ তবে শুভেন্দুর এ দিনের মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হতে শুভেন্দুও আগ্রহী?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখাই সেখান থেকে মমতার প্রার্থী হওয়ার অন্যতম কারণ৷ কারণ নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু৷ নিজের গড় বাঁচাতে শুভেন্দু যে মরিয়া হবেন, তা স্বাভাবিক৷ বিজেপি নেতার সেই কাজটা কঠিন করে দিতেই মমতার নিজে সেখান থেকে প্রার্থী হওয়া৷ যদিও মুখে তা স্বীকার করছেন তা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনিই পাল্টা দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামের সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়েই ওই কেন্দ্রকে বেছেছেন মমতা৷ তা সত্ত্বেও নন্দীগ্রাম আসন থেকে বিজেপি-র জয় নিশ্চিত বলেই জোর গলায় দাবি করছেন শুভেন্দু৷
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post