দেবাশীষ মাইতিঃ জ্বর, সর্দি-কাশি, ফুসফুসে সংক্রমণের মতো উপসর্গের সঙ্গে ছিল স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়া। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার সঙ্গে সঙ্গেই আরও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফলে জেনে রাখা দরকার কী কী উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হতে হবে।
আরো পড়ুন: ৩ মে লকডাউন ঘোষণা করবেন মোদী ? জানুন !!
চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানালেন,করোনা আক্রান্তদের কী ধরনের উপসর্গ দেখা যাবে তা কিছুটা নির্ভর করে ভাইরাল লোডের উপর। অর্থাৎ যার শরীরে ভাইরাল লোড কম, তিনি সাধারণত অ্যাসিম্পটোম্যাটিক থাকবেন, অর্থাৎ উল্লেখযোগ্য কোনও উপসর্গ দেখা যাবে না। মাঝারি মানের ভাইরাল লোড হলে অল্প জ্বর, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, সামান্য গলাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে, আর ভাইরাল লোড বেশি হলে শরীর বেশি খারাপ হবে।
আরো পড়ুন: আংশিক লকডাউন পশ্চিমবঙ্গে !!
জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, দুর্বলতার বিষয়ে এখন সকলেই সচেতন। কোনও একটি উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করানোর কথা ভাবছেন বেশির ভাগে। তেমনই আরও কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবার।
দেখে নেওয়া যাক লক্ষনগুলি কী কী ।
১) পেশিতে ব্যথা
২) জিভের রঙ বদল
৩) গলা জ্বালা ও ব্যাথা
৩) ডায়ারিয়া,পেটে ব্যাথা
৪) চোখ লাল হয়ে জল পড়া
৫) গায়ে লাল চাকা চাকা হয়ে যাওয়া
৬) ঠোঁটে ঘা
৭) অতিরিক্ত জল পিপাসা
৮)শ্রবন ক্ষমতা হ্রাস
আরো পড়ুন: ভয়ানক ! এবার করোনা এর তৃতীয় ঢেউ , কবে জানুন !!
স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া ছা়ড়া বাকি সব কটি উপসর্গই আপাত ভাবে সাধারণ। ডায়ারিয়া, চোখে কংজাংটিভাইটিসের মতো সমস্যা, পেশিতে ব্যথা হয়েই থাকে অনেকের। কিন্তু এখন এমন কোনও সমস্যাকেই সহজ ভাবে নিলে চলবে না। করোনার হাত থেকে বাঁচতে একমাত্র সতর্কতাকেই ভরসা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক, স্যানিটাইজারকে সবসময়ের সঙ্গী করে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, সহজেই তাঁদের কাবু করছে কোভিড-১৯।
আরো পড়ুন:
উপরের উপসর্গের কোনও একটি দেখলেই যে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে দৌড়াতে হবে তা নয়। লক্ষণগুলি যদি থেকেই যায়, সমস্যা বাড়তে শুরু করে তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। একাধিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার অপেক্ষা করলে দেরি হয়ে যাবে। সংক্রমিত বহু মানুষের মধ্যে শুধু একটি লক্ষণও থাকছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post