নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধ ঘরে পড়ে করোনায় মৃত ছেলের দেহ। মৃতদেহের পাশে শুয়ে করোনায় আক্রান্ত প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা। বুধবার বিকেলে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ঠাকুরপুকুরের চন্দ্রপল্লির বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৯ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন। বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে Oxygen-র সমস্যা মেটাতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন স্বাস্থ্যভবনের
ঠাকুরপুকুরের চন্দ্রপল্লির বাসিন্দা কমল দে, বয়স ৫৩। প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা মাকে নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানান, সোমবারের পর থেকে কমল দে’কে আর বাড়ির বাইরে বের হতে দেখে যায়নি। বাড়ির জানালা, দরজাও বন্ধ ছিল। বুধবার সন্দেহ হওয়ায় ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেওয়া হয়। বিকেল চারটে নাগাদ পুলিশ আসে। দরজা ভেঙে দেখা যায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কমল দে। মৃতদেহের পাশে অসহায় অবস্থায় পড়ে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা। মৃতের ভাই নির্মলকুমার দে জানান, কমল দে এবং তাঁর মা দু’জনেই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে শেষ তাঁর সঙ্গে কমল দে’র শেষ কথা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরও প্রায় দু’ঘণ্টা পর মৃত কমল দে’র দেহ উদ্ধার করে কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: ‘Mamata-র পথ নির্দেশিকায় শিল্পায়ন,’ দায়িত্ব নিয়েই বললেন শিল্পমন্ত্রী Partha
বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক মামলা করেছিলেন মৃত কমল দে। অশোকস্তম্ভ লাগানো গাড়িতে ঘোরা নিয়ে রাজ্য়ের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এছাড়া, পুলিশের ভুড়ি থাকবে কেন? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। যা নিয়ে বেশ শোরগোল হয়েছিল। এমনকী শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post