সুরশ্রী : রাজনৈতিক জীবনের শুরু আশুতোষ কলেজ থেকে। বর্তমানে জেএনইউ’তে পড়ছেন দুই রাজ্যের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কি বলবেন।
দীপ্সিতা: আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু 2010 সাল আশুতোষ কলেজ থেকে। 2013 পর্যন্ত আমি আশুতোষ কলেজে পড়েছি। সেই সময় থেকেই আমি এস এ ফাই র সাথে যুক্ত হই। সেই সময় থেকেই আমি তৃণমূলের অত্যাচার দেখেছি। আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর, অত্যাচার করা হয়েছে।
2011 র পর থেকে সেই আক্রমনটা আরো বাড়ে।
2013র পর আমি জেএনইউ’তে গেছি সেখানে দেখেছি, বিজেপির রূপ। আর এস এসের রূপ দেখেছি।
দুই দলই ব্যাক্তিগত ভাবে হিংস্র হতে পারে সেটা আমার খুব কাছ থেকে দেখা।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন না, বিজেপি কত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। আবার বাইরের মানুষজন জানেন না, তৃণমূল কতটা খারাপ হতে পারে। আমি ঘরের ও বাইরের-দুই শত্রুকেই দেখেছি, চিনেছি। মানুষকে সেটাই বোঝাচ্ছি।
সুরশ্রী: ২০১১ সালের ভোট হয়েছিল শিল্প-কৃষিকে হাতিয়ার করে এখন ভোট হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে বলে আপনার মনে হয়।
দীপ্সিতা: ২০১১ সালে যখন ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে, তখন ভোটের বিষয় ছিল শিল্প-কৃষি নিয়ে। এখন ভোট হচ্ছে কে কোন দলে চলে গেল, কার বউ কোথায় গেল।
ঘুষ নিচ্ছে, কাট মানি নিচ্ছে
এটা আমাদের কাছে দুর্ভাগ্যের বিষয়। লজ্জার বিষয় ব্যক্তিগত জীবনকে জড়ানো হচ্ছে। আমরা চাই সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় আসুক
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি কে বাঁচাক, পশ্চিমবঙ্গের সওস্কৃতিকে বাঁচাক।
সুরশ্রী: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সিপিএমের ভোট নষ্ট না করে ভোট টিএমসিকে দিতে।
দীপ্সিতা: বাংলা নিজের মেয়েকে চায় এই পোস্টার পড়েছে সারা বাংলায়। বিগত দশ বছরে নিজের কাজের বিবরণের পোস্টার কেনো দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। গত দশ বছরে হাজার হাজার কমরেড তৃণমূলের অত্যাচারে আজও তারা ঘরে ফিরতে পারেন নি। বিগত দশ বছর যে বামপন্থীদের কথা মাননীয় ভাবলেন না আজ সেই বামপন্থীদের ভোট চাওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত। তৃণমূলের ঘরের লোকেরাই আজ বিজেপি তে। তাই তৃণমূল আগে নিজেদের ঘরের লোককে সামলাক।
সুরশ্রী: সিপিএম এর স্লোগান ‘হাল ফেরাও লাল ফেরাও।’
লালের হাত ধরে কি হাল ফিরবে।
দীপ্সিতা: একদমই লাল ফিরবে। কারণ বিরোধী দোলারা জার্সি বদলের খেলা খেলছে। এক পার্টির জার্সি ছেড়ে আর এক পার্টির জার্সি
পড়ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে বিগত দশ বছরের আন্দোলনকে বাস্তবে রূপায়িত করব। খেলা, মেলা এইসবে আমরা একদমই আগ্রহী নই।
সুরশ্রী: বামেদের প্রার্থীতালিকায় এবার তরুনের সমাহার এর প্রভাব কি যুব সমাজের ভোট ব্যাংকে পড়বে
দীপ্সিতা: এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস। সারা দেশ তথা এ রাজ্যে যুবক-যুবতীরাই আসল স্তম্ভ, তাঁরাই সবচেয়ে বড় সংখ্যক ভোটার। এর আগেও শতরূপ ঘোষ মাত্র 25 বছর বয়সে লরেছিল। কৌস্তভ, আভাস রায় চৌধুরী এরা সবাই ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল। এদের সকলের একটা রিসেন্ট পাস্ট আছে। মানুষের দরকারে এরাই মানুষের পাশে থাকে। রাজনীতি সমাজের প্রতিফলন তাই যুব সমাজই মানুষের পাশে থাকতে পারবে। লক ডাউনে এরাই ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছিল, ওষুধ পৌঁছে দিয়েছিল, শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালালো, মুমূর্ষ করোনা রুগীকে বাইকে করে হসপিটাল নিয়ে গেল। সরকারে না থেকে যারা দরকারে ছিল তারাই সরকারে আসুক।
সুরশ্রী:এই গরমে বাসত্যতার মধ্যে নিজেকে কি ভাবে মেন্টন করছো।
দীপ্সিতা: মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা ও আশীর্বাদই
আমার এই সংগ্রামের চালিকা শক্তি। তাদের ভালোবাসা ই আমার প্রতিদিনের পথকে সুগম করছে।
Discussion about this post