সুরশ্রী রায় চৌধুরী : সোমবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ক্ষিতিশ রায়ের সমর্থনে জনসভায় যোগ দেন মানিক সরকার (Tripura Cm)। সেখানেই তিনি রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘পরিবর্তনের হাওয়া বইছে বাংলায়। সেই হাওয়ায় গা মিলিয়ে যদি বিজেপিকে ভোট দেন তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ। বিজেপিকে ভোট দিলে কী হয়, ত্রিপুরার(Tripura) মানুষ এখন হাড়ে-হাড়ে তা টের পাচ্ছেন।’ একইসঙ্গে বিজেপির ‘সোনার বাংলা’ প্রতিশ্রুতিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার আগে সোনার ত্রিপুরার স্বপ্ন দেখাত এরা, আর ক্ষমতায় এসে শিক্ষক রাস্তায় ফেলে মারে।’
লকডাউনের স্মৃতি উসকেও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব বুঝেও মানুষকে বিপদে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। গোটা দেশে ৪৯ থেকে ৫২ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। কোটি কোটি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছিল। শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আটকে পড়া মানুষজন লকডাউনের সময় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু বিজেপি সরকার তাদের কথা ভাবেনি। চিন্তাও করে নি। দেশে গরিবের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। আর দেশে কয়েকটি পরিবার মুনাফা লুটছে। এর জন্য দায়ী আরএসএস আর বিজেপি সরকার।’
শুধু তাই নয়, যে বিজেপি বাংলাতে চাকরির অভাবনীয় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাঁরা আসলে কী করতে চায়, সেই বিষয়টি উসকে মানিক সরকার আরও বলেন, ‘বাংলার মতোই এক টানা বাম সরকার ছিল ত্রিপুরায়। সেখানে এখন সরকার চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। ত্রিপুরায় গরিব মানুষের থেকে ট্যাক্স আদায় করতে দিচ্ছিল না সিপিএম সরকার। তাই তাঁকে সরাতে হবে। সেই জন্য ভোটের আগে থেকে ভিন রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা প্লেনে করে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন। সবাইকে চাকরি দেওয়া হবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। চলো পাল্টাই স্লোগান দিয়েছিল। আরও ভালো ত্রিপুরা তৈরির কথা বলেছিল। কিন্তু এখন কী হাল ত্রিপুরায়! অনেক মিটিং হল কাজের কাজ কিছুই হয় নি। এখন প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। একশো দিনের কাজ নেই। গরিব মানুষ কাজ পাচ্ছে না। এখন ত্রিপুরায় একশো দিনের জায়গায় মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিন কাজ হচ্ছে।’ তাই বাংলার মানুষকে এ নিয়ে সতর্ক থাকার আবেদন করেন তিনি।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post