মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে!! বাসে, ট্রামে, গাড়িতে এদিক থেকে ওদিক যেতে আপনারা যে সমস্ত চেনা অচেনা মুখদের নিত্যদিন দেখতে পান, দেখে কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের দিকে চোখ পড়ে যায়। কিনতে ইচ্ছে করে, হাত সুড়সুড় করতে শুরু করে, আজ সেই অজস্র চেনা-অচেনা মুখের মাত্র তিনজনকে পেলাম আমাদের মধ্যে।
রব্বি তারান্নম, মৌমিতা পাল ও পিয়ালি রায়… তিনজনকে একসূত্রে গেঁথে তরুণ তূর্কি বলা চলে না, তিন জনে তিন ধরণের ব্যক্তিত্ব। কিছুদিন আগেই “AaNa Style Creation” এর হোর্ডিংয়ের কাজ করেছেন তিনজনে। এদিন তাদের হাঁড়ির খবর নিলাম আমরা।
প্রশ্ন: এবারে তো সবকিছুই আলাদা। দিওয়ালি, দূর্গাপুজোও নিউ নর্ম্যালে জৌলুস হারিয়েছে। কোভিড পরবর্তী যুগে এই কাজটি করতে পেরে কেমন লাগছে?
রব্বি তারান্নম: কাজটা পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম৷ নিউ নর্ম্যালে কাজ করা এমনিও খুবই চাপের, সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজগুলো করতে হয়েছে। সমস্যা হয়নি খুব একটা, এত ভালো মানুষদের সঙ্গে কাজটা করেছি, সহজেই হয়ে গিয়েছে৷ তবে আমি এও বলব যে, মানুষের জীবনে এই চ্যালেঞ্জগুলো থাকা ভাল। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বলতে পারব যে মহামারীর এই বীভৎসতার মধ্যেও আমরা কাজ করে এসেছি।
মৌমিতা পাল: লকডাউনের পর কাজ অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ গোটা ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকছে বলা যায়, তাই এই সময়ে কাজটা পেয়ে বেশ ভালোই লেগেছে। আর শ্যুটিং ফ্লোরে ভীষণভাবে আমাদের সুরক্ষার কথা ভাবা হয়েছে। বলতে পারা যায়, ভীষণ সতর্ক হয়েই আমরা কাজটি করেছি৷
পিয়ালী রায়: হ্যাঁ, আমি যেহেতু থিয়েটারে কাজ করেছি এর আগেও তাই বলতে পারি, থিয়েটার থেকে শুরু করে সব কাজই বন্ধ এখন৷ তাই এই মুহুর্তে কাজ পাওয়া একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা৷ আর কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো কথাই হবে না৷ সামাজিক দুরত্ব মেনেও যে এত ভালোভাবে কাজ করা যায়, এই কাজটা না হলে জানতেই পারতাম না।
প্রশ্ন : এই হোর্ডিং শ্যুটের আগে আপনারা কোথায় কোন কোন কাজ করেছেন তা যদি বলেন
রব্বি তারান্নম : ২০১০ সালে আমি ল্যাকমে সানন্দা স্টাইল ডিভা হয়েছিলাম। তারপরে ২০১৫ থেকে আমি বিভিন্ন বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করি। এরপরে শাহরুখ খান অভিনীত দিলওয়ালের প্রোমোও শ্যুট করেছি আমি। ২০১৯ সালে ইমার্জিং মডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, ২০২০ তেই পেয়েছি women achievement অ্যাওয়ার্ড। তারপরে এভাবেই চলছে, খুবই বেছে বেছে শ্যুট করি আমি। এখন মুম্বই, গুজরাটজুড়ে কাজ করছি। ব্যাস এভাবেই ভাল আছি৷
মৌমিতা : বেশিরভাগ ক্যাটালগ শ্যুট করেছি। তবে ফ্যাশন শ্যুটও করেছি আমি। গোটা উত্তরবঙ্গে শ্রীনিকেতনের শীতকালীন শ্যুটগুলিতে আমি কাজ করেছি।
পিয়ালী : তিলজলা আয়ার্সের হয়ে আমি থিয়েটার করি। থিয়েটার ছাড়া আমি আকাশ আটের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ওই চ্যানেলের কিছু কাজে আমাকে দেখা গিয়েছে।
প্রশ্ন : ভবিষ্যতের কথা কেউই বলতে পারে না, তবু মানুষের কিছু না কিছু পরিকল্পনা তো থাকেই৷ আপনাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক কি?
রব্বি তারান্নম : আমি কোনো লক্ষ্য মাথায় রেখে চলছি না৷ আপাতত নাম জানাতে চাইছি না, তবে একটি মিউজিক অ্যালবামে কাজ করতে চলেছি। নামী এক ডিজাইনারের সঙ্গে কাজ করতে চলেছি। জয়সলমীরেও একটি কাজের পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
মৌমিতা : আপাতত নিজেকে গুছিয়ে নিতে চাই। ভবিষ্যতে অভিনয় করার ইচ্ছে রয়েছে৷
পিয়ালী: ভবিষ্যতে নিজের পরিচয়ে বাঁচতে চাই, একটা জায়গায় অন্তত পৌঁছোতে চাই। বিভিন্ন ফিচার, শর্টফিল্মে আমার কাজ করার কথা রয়েছে। তবে কোথায় কাদের সঙ্গে কাজ হবে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নই, ফাইনাল হয়নি কাজগুলি।
এই কাজটি করে কেমন লেগেছে, অতীতে কি কি কাজ করেছেন, এবং ভবিষ্যতে কী করতে চান এনারা সবই জানা গেল। তবে যে মানুষটিকে ছাড়া এনাদেরকে এভাবে লেন্সের সামনে ফুটিয়ে তোলা যেত না তার নাম রোহন দাস। এই তিনজনেরই মেকাপের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ক্যামেরার পেছনে সঠিক মুহুর্তকে লেন্সবন্দী করেছেন রণিত প্রধান।
আরও পড়ুন রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর’, তা হয়তো আজও ঠিক বোঝা গেল না!
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post