ফাইল চিত্র
কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডের কিংপিং বিনয় মিশ্রকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া সিবিআই। এমনকী, দেশে ফিরে এলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হবে না। সোমবার আদালতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে গ্রেফতার না করার ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিনয় মিশ্র যদি ১২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ফেরে তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না। কোনও রেড কর্নার নোটিসও জারি করা থাকবে না ‘নিরুদ্দেশ’ এই প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তদন্তে সহযোগিতা করুক বিনয়, মোদ্দা একটাই শর্ত সিবিআই-এর। কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন সিবিআই-এর আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর।
বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে বর্তমানে রেড কর্নার নোটিস জারি রয়েছে। এ দিন সিবিআই-এর তরফে তাঁকে রক্ষাকবচের আশ্বাস দেওয়া হলে পালটা বিনয়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, বিমানবন্দরে নামলেই যে ইডি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করবে না কোনও গ্যারেন্টি আছে? পালটা সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ইডি এখনও পর্যন্ত বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেছে বলে জানা নেই তাদের। জবাবে সিঙ্ঘভি বলেন, তিনি বিনয় মিশ্রর সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।
আরও পড়ুন: ‘কোভিডে মৃতের পরিবারকে দেওয়ার টাকা নেই, সেন্ট্রাল ভিস্তায় ২০ হাজার কোটি খরচ!’ তুলোধনা তৃণমূলের
কয়লা গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অবশ্য জানিয়েছে, সে বর্তমানে ভারতের নাগরিকই নয়। সূত্রের খবর, প্রশান্ত মহাসাগরে ভানুয়াটু নামক এক দ্বীপে রয়েছে বিনয়। পাশাপাশি সিবিআই আরও জানায়, বিনয় মিশ্রর দু’টো ভোটার কার্ড। দুইয়ের বেশি পাসপোর্ট। তাঁকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে না। কারণ সে কোথায় কেউ জানে না। ফলে ভিডিয়ো কনফারেন্স হলেও সহজেই উত্তর এড়িয়ে যাবে অভিযুক্ত। তাই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই আরও সময় চাইলে বিচারপতি বলেন, একটা অন্তর্বর্তী নির্দেশের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না। মঙ্গলবার আদালত ফের মামলাটি শুনবে।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর সঙ্গে ‘সেক্স ভিডিয়ো’ ফাঁসের হুমকি দিত ভাই, ‘ভয়েই’ মুখ বন্ধ রেখেছিল আরিফ
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post