ভোটের ফল জানতে উৎসাহী জনতার ভিড়। ছবি:PTI
আগরতলা: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও নির্বাচনের ফলাফল জানাল অন্য কথা। সম্প্রতি ২৮টি আসনে হয়ে যাওয়া ত্রিপুরা উপজাতি অধ্যুষিত জেলা পরিষদ নির্বাচন (Tripura Autonomous District Council ballot) হয়। এই নির্বাচনে জয় নিয়ে বিজেপি-আইপিএফটি জোট আশাবাদী থাকলেও বাজিমাত করল তিপরা(TIPRA) সংগঠন। ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। বিজেপি(BJP) জোট পেয়েছে মাত্র ৯টি আসন।
ত্রিপুরার মোট বসবাসকারীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশই আদিবাসী। ১৮টি উপজাতি মিলিয়ে প্রায় ৩৭ লাখ ভোটার রয়েছে। পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের উন্নয়ন ও স্বাধীন শাসনক্ষমতা তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই ১৯৮২ সালে এই কাউন্সিল গঠিত হয়েছিল। ৩০টি আসনের এই কাউন্সিল ২০টি বিধানসভা অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এরমধ্যে দুটি আসন মনোনীত। ২০২০ সালে পূর্ববর্তী কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণের কারণে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছিল না। রাজ্যপালের শাসনেই ছিল এই পরিষদ।
চলতি বছরের মার্চ মাসেই নির্বাচনের দিনঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এরপরই জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। ২০১৫ সালের শেষ নির্বাচনে সিপিআইএমের নেতৃত্বে বাম জোট ২৫টি আসনে জয়লাভ করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে আইপিএফটির সঙ্গে জোট বেঁধে এই কাউন্সিল নিজেদের দখলে রাখার স্বপ্নই দেখেছিল বিজেপি।
ত্রিপুরার রাজবংশের উত্তরসূরী প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মন (Pradyot Manikya Deb Burman) গত বছর দলের সঙ্গে মত পার্থক্যের কারণে কংগ্রেস ত্যাগ করে তিপরা(The Indigenous Progressive Regional Alliance) দলটি গঠন করেন। নির্বাচনী প্রচারেও তিনি ভিন্ন ত্রিপরাল্যান্ড গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার প্রভাবেই নির্বাচনী ফলে বাজিমাত করেছে এই নতুন দল।
এ দিন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, প্রদ্যোত দেববর্মনের দল ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি-আইপিএফটি জোট পেয়েছে নয়টি আসন। একটি আসনে জয়লাভ করেছে নির্দল প্রার্থী। গতবারের শাসক দল বাম ও কংগ্রেস একটিও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বিনা অনুমতিতে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ মার্কিন নৌবাহিনীর প্রবেশে ক্ষুব্ধ ভারত, পাল্টা ব্যাখ্যা পেন্টাগনের
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post