সুরশ্রী রায় চৌধুরী: জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে মদত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী।
তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন যে, ওই সময় ছত্রধর মাহাতো ব্লক সভাপতি ছিলেন। তাই এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত ছিল বলে দাবি তার। তিনি উল্লেখ করেন, এমন দাবি তাঁরা করছেন না, খোদ মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন, সেই সময় যদি জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ড হয়, নেতাই-কাণ্ড হয়, লালগড়-কাণ্ড হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই সব ঘটনায় মমতার দায় ছিল।
সুখময় শতপথী আরও বলেন, সেই সময় অন্য কেউ ব্লক সভাপতি ছিলেন বলেই জানতেন ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে বলেছেন যে ছত্রধর ব্লক সভাপতি ছিলেন। আর তা থেকেই এই দায় নেওয়ার প্রশ্ন তুলছেন এই প্রার্থী।
২০১০-এর ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিতে একটি চলন্ত মালগাড়ির ধাক্কা লাগায় মোট ১৪১ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। অন্তর্ঘাত না বোমা বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তদন্ত হয়। মাস কয়েক আগে এই একই অভিযোগ করেছিলেন আর এক বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। তখনও অবশ্য প্রার্থী হননি তিনি। তবে এক দলীয় সভায় এসে ভারতী বলেছিলেন জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে হাত ছিল ছত্রধরের। ১০ বছর পর ২০২০-তে জেল থেকে মুক্তি পান ছত্রধর মাহাতো।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post