দেবা দাস, কৃষ্ণনগর: একুশের নির্বাচন শেষে একাধিক বিজেপি নেতা- নেত্রী তৃণমূলে যোগদান এর আর্জি জানাই।গতকালই তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। আর মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই মুকুল ঘনিষ্ঠরাও ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে।বীরভূম জেলার দাপুটে নেতা মনিরুল ইসলাম, গদাধর হাজরার মতো নেতারা তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগও করছেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে।
আরো পড়ুন এখনো কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েন মুকুলের বাড়িতে
প্রসঙ্গত, মনিরুল ইসলাম বাম জমানায় দাপুটে নেতা ছিলেন। তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়েও বীরভূমের লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়কও নির্বাচিত হন। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। বীরভূমের একসময় অনুব্রত মনিরুল জুটি বিরোধীদের নাজেহাল অবস্থা করে ছাড়তেন।
আরো পড়ুন অনুরাগীদের পর্দায় ফেরার ইঙ্গিত ‘বাদশা’-র
গদাধর হাজরা ছিলেন নানুরের বিধায়ক। তারপর বীরভূমের জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মুকুল ঘনিষ্ঠ গদাধর হাজরা, মনিরুল ইসলাম এবং তাঁর পুত্র আসিফ ইকবাল সহ বীরভূম জেলা বিজেপির বহু নেতাই যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দেবেন মনিরুল ইসলামরা বলেই জানাচ্ছে তৃণমূলের একটি সূত্র।
আরো পড়ুন সকাল সকাল চাণক্য-কবিগুরু শরণে রাজ্যপাল, জেনে নিন কারণ
এ প্রসঙ্গে গদাধর হাজরা জানান, ‘মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরেছেন এটা ভালো খবর। আমার নেতা অনুব্রত মন্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরতে চাই। বিজেপিতে কেউই থাকবে না। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইছি দিদির কাছে। আগামীদিনে দিদির নেতৃত্বে অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে রাজনীতি করতে চাই। মানুষের পাশে থাকতে চাই।’ মনিরুল ইসলামের ছেলে আসিফ ইকবাল বলেন, ‘মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। মুকুল রায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বিজেপিতে কেউ থাকবে না। সংখ্যালঘুদের সম্মান করে না বিজেপি। আর তৃণমূলে ফিরতে তৈরি আছি। তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’ বীরভূম জেলায় ইতিমধ্যেই সাঁইথিয়া, লাভপুরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলে ফিরছেন। বীরভূম জেলায় গদাধর হাজরা, মনিরুল ইসলামদের তৃণমূলে যোগদান কবে হয় সেই দিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post