তনুময় দেবনাথ: করোনা আর লক ডাউন নিস্তব্ধ করে দিয়েছে জীবন। যারা লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে আর গাড়ি চালায় এমন আরও নানান পেশার সাথে যুক্ত অনেকের না খেয়ে, আধপেটা খেয়ে দিন যাচ্ছে। দিনহাটার এমনই এক পরিবার ছুটে আর এক পরিবারের কাছে। “কাউকে বলো না বাড়িতে চাল নেই, কিছু সাহায্য করো”, কিন্তু লক ডাউন মিটবে কি করে?
দিনহাটার ১৬নং ওয়ার্ডে ঔষধের ব্যবসায়ী আবু আরশাদ আয়ুব এমনই প্রশ্ন করতে থাকে নিজেকে। ঠিক, সেই সময় তার একমাত্র মেয়ে জারীন আয়ুব (ডাক নাম হীরের টুকরো) দিনহাটা শিশু মালঞ্চ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী বলে “বাবা ফেসবুক পোস্ট করো, দেখবে তোমার মতো আরও অনেকে সাহায্য করবে আন্টিদের!” মেয়ে আবদারে বাবা তাই করল। পোস্ট করার কিছুক্ষন পর ছুটে এলো রেড ভলান্টিয়ার, সাহায্যের হাত বাড়ালো দিনহাটা বিশিষ্ট দুই ডাক্তার।
ওই পরিবারটিকে খাদ্য সামগ্রী দিতে গিয়ে আবু সাহেব দেখে আরও অনেকে না খেয়ে। ইতিমধ্যে ফেসবুক থেকে গুগুল পে , পেটিমে টাকা ডুকে গেছে আবু সাহেবের একাউন্টে। সেই টাকা আসে আলিপুর, জলপাইগুড়ি, খাটামারী আরও বিভিন্ন এলাকে থেকে। সেই টাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার কয়েকদিনের চাল, ডাল, সয়াবিন, আলু, সাবান,স্যানিটাইজার ও মাক্স প্যাকেট করে দিয়ে আসেন আবু বাবু।
একটা ফেসবুক পোস্ট কয়েকটি পরিবারের কয়েকদিনের আহারের ব্যবস্থা করবে এটা ভাবতেই পারেনি আবু সাহেব। তার ছোট্ট ন’বছরের মেয়ে জারীন আয়ুবের এতো বড়ো ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয়, আমরা যারা ঘরে বসে ফেসবুক করি তারা এমন ভালো কাজ করব। আগামীতে এভাবেই সোশাল মিডিয়া হয়ে উঠুক মানবতার মাধ্যম, মানবিক নজিরের প্রাণকেন্দ্র। শেষে আবু আরশাদ আয়ুব বলেন “আমার মেয়ে এই আইডিয়া টা না দিলে ওই অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো হতো না, যারা পোস্ট দেখে আর্থিক সহায়তা করেছেন তাদের কুর্নিশ জানাই। “
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post