নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তিপ্রাপ্ত ” তান্ডব ” ওয়েব সিরিজ নিয়ে বির্তক পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। ধর্মীয় আবেগে আঘাত ও দিল্লির সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে রাজনীতি । সবমিলিয়ে বিতর্ক পৌঁছায় খারাপ অবস্থায়। সিরিজটি পলিটিক্যাল ড্রামা। দিল্লির মসনদ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার জন্য যে ইঁদুর দৌঁড়ের শামিল হতে হয়, সেই বিষয়টিরও খানিক ইঙ্গিত মিলল ট্রেলারে। প্রথম মরশুমে মোট ৯টি এপিসোড দেখা যাবে। একদিকে যেমন রাজনৈতিক সমর্থক তথা ধর্মের ধারক বাহকদের মুখভাড়। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবীরা বিনোদনকে রাখছেন বিনোদনের স্থানেই। বিখ্যাত গায়িকা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্না চিত্রকর সৌমিতা সাহা এই বিষয়ে সরব হলেন সোস্যাল মিডিয়াতে। সৌমিতা এমন একজন বুদ্ধিজীবী যিনি বিভিন্ন সামাজিক অপসংস্কৃতি ও অনাচারের বিরুদ্ধে চিরকাল সরব হয়েছেন। সৌমিতা লেখেন
“আমি বোধহয় সেই সল্প বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের একজন যারা বড্ড কম বোঝেন। কেন যে আমরা বুঝিনা, ” সব চরিত্র কাল্পনিক” কথাটি তো নির্মাতারা বাদ দেননি। যারা উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন তারা নিছক বিনোদন কে বিনোদনের মত মানতে পারেননা কেন আমি বুঝিনা।
যারা দাবি করেন রাজনীতি বুঝিনা বললে চলেনা, রাজনীতি ছাড়া দেশ চলেনা তাদের বোঝা উচিত কল্পনার জগতে যদি স্বাধীনতা না থাকে, শিল্প বাঁচেনা। Film making is an art. সব চরিত্র কাল্পনিক বিষয় টা মানতে না পারলে, শিল্প হাঁটবে ধংসের পথে। সেই তাসের দেশের মত সমাজে বাঁচা সম্ভব হবে তো?”
সৌমিতার আঁকা ছবি দেশের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছেছে আমেরিকা। পোর্ট ল্যান্ডের আর্ট মিউজিয়াম অন্তর্ভুক্ত আর্টরীচ গ্যালারিতে প্রর্দশিত হয়েছে সৌমিতার আঁকা। দেশের প্রথম সারির শিল্পীদের মধ্যে সৌমিতার নাম উজ্জ্বল। মুক্তমনা তরুণী চিত্রকর আরও জানান ” ধর্মের অপমান আমি সমর্থন করি না, কিন্তু উপন্যাস বা সিনেমার প্রক্ষাপটে তার ঘটলে বিষয়টি কাল্পনিক। বরং বাস্তবে এমনটা যাতে না ঘটে সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা আমাদের সামাজিক কর্তব্য।”
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post