অপর্ণা দাস : সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাস হওয়া তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত একমাসের বেশিদিন রাজধানীতে আন্দোলন জারি রেখেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক ও কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে শুক্রবার নবম দফার আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্র মেলনি। ১৯ জানুয়ারি ফের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে কিসান প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডের আয়োজন করেছেন কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনরত কৃষকরা। এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘কিষাণ প্যারেড’। যদিও একথা আগেই ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে রবিবার সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে কয়েকজন বরিষ্ঠ কৃষক নেতা জানান, ‘কয়েক’শ ট্রাক্টরের মাধ্যমে প্যারেড করতে চাইছি আমরা। থাকবে কিছু ট্যাবলো। এই ট্রাক্টরগুলিতে আমরা সসম্মানে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করব। এছাড়া কিছু কৃষক ইউনিয়নের পতাকাও থাকবে। এর পাশাপাশি তাঁরা এও জানিয়েছেন, এটি কোনও আক্রমণের প্রস্তুতি নয়। আমরা রাজপথ বা লালকেল্লাতেও যাব না। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখব।’
জানা গেছে, ওইদিন নয়াদিল্লির আউটার রিং রোডে ৬০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে প্যারেড করা হবে। সেনাবাহিনীর মূল প্যারেড শেষে প্যারেড করবেন কৃষকরা। পীরগাড়ি, জনকপুরী ও মুনিরকা হয়ে যাবে তাঁদের প্যারেড।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন প্যারেড করা নিয়ে কৃষকরা জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালিয়েছি। আমরা ২৬ জানুয়ারিকে বেছে নিয়েছি দুটি কারণে। এক, সাধারণতন্ত্র দিবস জনগণের অধিকার ঘোষণার দিন। দুই, সেই দিন দিল্লির সীমান্তে আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের দু’মাস পূর্ণ হবে। অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে চূড়ান্ত ধৈর্য নিয়ে আমরা দু’মাস অপেক্ষা করেছি।
ফাইল চিত্র
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post