প্রতীকী ছবি
তামিলনাড়ু: পাত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জি। পাত্রের নাম সোশ্য়ালিজম। সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন দুজনে। আগামী ১৩জুন সালেমেই সম্পন্ন হবে তাঁদের শুভ পরিণয়। ছাপা হয়েছে কার্ডও। আর সেই নিমন্ত্রণ পত্র এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চমক এখনও বাকি আছে। সালেম জেলার সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক এ মোহন। তাঁর তিন ছেলে। কমিউনিজম, লেনিনিজম এবং সোশ্যালিজম। তিন ভাইয়ের মধ্যে সোশ্যালিজম কনিষ্ঠ। মোহন বলেছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। ১৯৯১-তে সোভিয়েত রাশিয়া যখন ভেঙে যায়, তখন আমার স্ত্রী গর্ভবতী। তাই প্রথম সন্তানের নাম রাখি কমিউনিজম। আমরা বিশ্বাস করি কমিউনিজমের কখনও মৃত্য়ু হয় না। লেনিনের স্মরণে মেজ ছেলের নাম রেখেছি লেনিনিজম। আর কমিউনিজমের হাত ধরে আসে সোশ্যালিজম। তাই ছোট ছেলের নাম সোশ্যালিজম। নাতির নাম রেখেছি মার্ক্সসিজম।” ছেলে-নাতির এই ধরনের নামে কখনও সমস্যায় পড়তে হয়নি? সে প্রসঙ্গে মোহন বলেন, “এ তো নতুন নয়, আজ থেকে ৬০ বছর আগে কমরেডদের এমন নাম হত। যেমন- মস্কো, রাশিয়া, ভূপেষ গুপ্ত, চেকোস্লোভাকিয়া ইত্যাদি।”
অন্যদিকে, সোশ্যালিজমের হবু স্ত্রী তথা কনে মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস পরিবারের মেয়ে। মোহনরা তাঁদের বহুদিনের প্রতিবেশী। কুড়ি বছর আগে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ নেত্রী ছিলেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সময়ে মমতার নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই নিজেদের মেয়ের নাম মমতা রাখেন ব্যানার্জি পরিবার।
এই প্রথম নয়, এর আগে তামিলনাড়ুতেই করোনা নামে এক মহিলা বিজেপির তরফে পৌরসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। নামের জেরেই ভাইরাল হয়েছিলেন সেই তরুণী।
আরও পড়ুন: ‘মুকুলিত’ ঘাসফুল, ‘ওঁ তুখোড় নেতা’, মন্তব্য রাজু বিস্তার, ‘বেদনাক্রান্ত’ অগ্নিমিত্রা
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post