সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ইয়াসের ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছে বহু নদী ও সমুদ্র বাঁধ। ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতিতে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম রাজ্য প্রশাসন। প্রশ্ন উঠছে আমপানের জেরে যে সব বাঁধ ভেঙেছিল, সেই বাঁধ মেরামতি করার ঠিক একবছরের মাথায় এইরম অবস্তা কি করে হল। এই নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও প্রশ্ন তুলেছেন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বন দফতরের ৫ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা রোপনের সিদ্ধান্তের কী হল, তাও জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা ,কারণ শুভেন্দু অধিকারী
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই সেচ দফতরের সচিব নবীন প্রকাশকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন,”বিদ্যাধরী বাঁধ আজকেও ভেঙেছে। দিঘায় তোমরা যা করেছিলে, তার সবটাই ভেঙে গিয়েছে। হয়েছে তো দু-আড়াই বছর! জলের স্রোত ছিল তবে সবটাই কীভাবে ভাঙল? তোমরা নজরদারি করো? প্রতি বছরই বলছো, ৩টে ব্রিজ কমপ্লিট হচ্ছে। তোমার কংক্রিটের ওই ব্রিজ ভেঙে গেল কী করে? এটা তদন্ত হবে। অর্থ দফতর তদন্ত করবে।”
আরো পড়ুন ‘মার্ডার’ ছবি করে ‘পতিতা’ আখ্যা পাই, মল্লিকা
আরও বলেন,”বিদ্যাধরী নদীর প্রত্যেকটা বাঁঘ ভেঙেছে। আমপানের পর কত টাকা দিয়েছিলে? তাহলে টাকাটা কি জলেই চলে যাচ্ছে? টাকা আমি জলে দেব, না জল আমি টাকা দিয়ে ঢাকব। কী করব? কোনটা হবে?”
এর পর অর্থ দফতরের সচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ, ”আমি অর্থ দফতরকে বলব। আমপানে কোন কোন জায়গা সারানো হয়েছে, তার কত শতাংশ ভাঙল,তা খতিয়ে দেখতে হবে। একদম সেচ দফতরকে টাকা দেবে না। একটা টাস্ক ফোর্স করো। টেন্ডার, যাবতীয় ব্যবস্থা দেখে টাকা দিতে হবে। সরকারের টাকা এত সস্তা নয়। প্রতিবছর ঝড়, বন্যা হবে। কোথা থেকে পাব?” মাটির বাঁধ না দিয়ে গাছ লাগানোর পরামর্শও দেন মমতা (Mamata Banerjee)। গতবছর ৫ হাজার গাছ পোঁতার কথা বলা হয়েছিল। কত পোঁতা হয়েছে, তার হিসাব চান তিনি। তবে বন দফতরের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে হাজির ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আমি গাছের কথা বলেছি। ম্যানগ্রোভ বলল ৫ কোটি পুঁতবে। কোথায় পুঁতবে? গতবার বড় বড় ভাষণ দিল। ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ পোঁতার কাজ ছিল।”
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post