হরিশ্চন্দ্রপুর,০৮ ডিসেম্বর: সরকারি নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সোমবার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে শুরু হয়েছে ঊরুষ মেলা। মঙ্গলবার হয়ে হয়ে শেষ।এই উৎসব চলে দুই দিন ধরে।স্থানীয় ছাড়াও বাইরে থেকে বহু মানুষ এই ঊরুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেন।১৯৭২ সাল থেকে পীর হজরত সৈয়দ শাহ কুতুবুদ্দিন রহমতুল্লা আলাইহের স্মৃতিতে চলে আসা এই ঊরুষ মেলা ৪৮তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবছর ঊরুষ মেলায় করোনা সচেতনতামূলক বার্তার জন্য পোস্টার লাগানো হয়েছে। মাক্স পড়ে মেলায় প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ঊরুষ কমিটির সভাপতি জহুরুল আলম বলেন, দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে পীর হজরত সৈয়দ শাহ কুতুবুদ্দিন রহমতুল্লা আলাইহের স্মৃতি স্মরণে ঊরুষ মেলা হয়ে আসছে। যেখানে পীর বাবার মাজার রয়েছে, সেখানে এক সময় পুকুর ছিল। তার চারপাশে ছিল কলা গাছ এবং জঙ্গলে পরিপূর্ণ। জামালুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি পুকুর ভরাট করে কাঁচা বাড়ি তৈরীর চেষ্টা করলেও বারবার সেই বাড়ি ভেঙে যায়।
পীরের খাদেম আরিফুল রহমান জানান, কখনো কখনো জামালুদ্দিনের সামনে বাঘ রুপে পীর বাবা দেখা দিতেন। যদিও এখন বাঘ নেই।বিষয়টি তিনি গ্রামের সকলকে জানান। বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলার রহমানপুরের তাকিয়া শরীফের খাজা ওয়াহিদ আসগর সেই সময় ভবানীপুর গ্রামে যাতায়াত করতেন। তিনি সব ঘটনা শুনেন। তার পরামর্শেই জামালুদ্দিন এক শতক জমি দান করেন। সেই জমিতেই মাজার গড়ে তোলা হয়। সেই থেকে পীরের স্মরণে মাজারে গ্রামবাসীরা ঊরুষ উৎসব পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন গ্যাস লিক করে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বৃদ্ধার
পীরের আরো এক খাদেম মহম্মদ লতিফ জানান, একসময় পীরের খেদমত করতেন জামালুদ্দিন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে খেদমত করতেন শরিফুদ্দিন। তিনি খাজা ওয়াহিদ আসগরের কাছে মুরিদ হন। পীর বাবার যারা খেদমত করতেন সেই খাদেম তথা ভক্তদের বংশধররা আজও বংশ পরম্পরায় ভবানীপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
তিনি আরো জানান ২০১৮ সাল থেকে পীরের মাজারে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। প্রথমদিকে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পীরের উদ্দেশ্যে ফাতেহা করা হতো।১৮ সপ্তাহ চলার পর স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর শুক্রবার থেকে ফাতেহা করা হয়। সেই থেকে প্রতি শুক্রবার ফাতেহা ও জিয়ারত করা হলেও করোনার জন্য প্রায় ৮ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে ।
ঊরুষ মেলাকে ঘিরে দুইদিন ধরে কাওয়ালির আয়োজন করা হয়। এবার কাওয়াল রয়েছে মুম্বাই থেকে আরশাদ ওয়াহিদ ও উত্তর প্রদেশ থেকে দিলবর মেরাজ।
ঊরুষ মেলায় দুই দিন ভবানীপুর, বাংরুয়া, মহেন্দ্রপুর, ইসলামপুর, রাড়িয়াল, শালালপুর, আলিনগর, গাঙনদীয়া ও ছত্রক গ্রাম সহ বিহার থেকে অগণিত মানুষ পীরের মাজারে ফাতেহার উদ্দেশ্যে সামিল হন । উপকৃত হলে ভক্তরা খুশি হয়ে টাকা পয়সা, মুরগি ও আগল দান করেন।
আরও পড়ুন শক্তি বৃদ্ধি করে আসছে ‘অর্ণব’
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post