ফাইল ছবি
কলকাতা: করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা তো ছিলই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটা নাম ‘মিউকরমাইকোসিস’ (Mucormycosis)। অনেকের কাছেই নতুন এই নাম। এর কী লক্ষণ, কী ভাবে সারবে এই রোগ? তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা উপদেশ। এরই মধ্যে অনেকেই ফেসবুক ওয়ালে দেখেছেন, ফ্রিজের খাবার থেকে নাকি ছড়াতে পারে এই রোগ। পেঁয়াজের ওপর থাকা কালো আস্তরন থেকেও ‘মিউকরমাইকোসিস’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অনেকেই। এ সব দেখে ভয়ে অনেকেই ফ্রিজে খাবার রাখা বন্ধও করে দিয়েছেন। কিন্তু এ সব আসলে কতটা সত্যি?
একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে লেখা আছে, ‘বাড়িতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সতর্ক থাকুন। পেঁয়াজ কেনার সময় দেখে নিন গায়ে কালো আস্তরন আছে কি না। এগুলোই আসলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ফ্রিজের মধ্যে থাকা রবারের গায়ে কালো দাগই আসলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এর থেকেই ছড়ায় মিউকরমাইকোসিস। খাবারের মাধ্যমে শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ।
আরও পড়ুন: কোভিড নাকি ধারে-কাছে ঘেঁষবে না! মরা সাপ চিবিয়ে খেলেন এক ব্যক্তি
কী এই কালো আস্তরন?
আসলে তা নয়, আমেরিকার কৃষি দফতর জানাচ্ছে পেঁয়াজের গায়ে থাকা কালো আস্তরন আসলে মাটিতে থাকা একটি সাধারণ ফাঙ্গাস। এগুলো থেকে সহজে ইনফেকশন ছড়ায় না। তবে পেঁয়াজ খাওয়ার আগে অবশ্যই তা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
তাহলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কোনটা?
মিউকরমাসেটস নামে একটি ফাঙ্গাস বাতাসে ভেসে বেড়ায়। যাদের আগে থেকে কোনও শারীরিক সমস্যা আছে বা তাঁরা এমন কোনও ওষুধ খান যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাঁদেরকেই আক্রমণ করে এটি। বিশিষ্ট চিকিৎসক ড, অরুণালোক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফ্রিজে এই ফাঙ্গাস বেঁচে থাকতে পারে না। রঙ দিয়েও এই ছত্রাক চিহ্নিত করা যায় না। সুতরাং নিশ্চিন্তে ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post