দীপাঞ্জন দে: ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’ বিষয়ে ১৩ নভেম্বর ২০২২ (রবিবার) এক মনোজ্ঞ আলোচনার আয়োজন করেছিল কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক সংস্থা মুক্তধারা। কৃষ্ণনগরবাসী তো বটেই, নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি পড়শি জেলার মানুষজনও মুক্তধারার প্রতিটি আলোচনাসত্র শুনতে নিয়মিত ছুটে আসেন কৃষ্ণনগরে। মুক্তধারার পক্ষ থেকে প্রতি এক দেড় মাস অন্তর এই ধরনের আলোচনাসত্রের আয়োজন করা হয়। এদিন ছিল মুক্তধারার ৪৩তম আলোচনাসত্র। এদিনের আলোচনাসত্রের বিষয় ছিল ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’। আলোচক ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। মুক্তধারার এদিনের আলোচনাসত্র শুনতে সভাকক্ষে বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে সন্ধ্যা পাঁচটায় দর্শকেরা উপস্থিত হয়েছিলেন ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’ শুনতে।
মুক্তধারার প্রথা অনুযায়ী তাদের আলোচনাসত্র শুরু হয় একটি উদ্বোধন সংগীতের মধ্যে দিয়ে। উদ্বোধন সংগীতটি পরিবেশন করেন শ্রীমতি নূপুর বসু। উদ্বোধন সংগীতের সমাপ্তিতে সঞ্চালক দীপাঞ্জন দে আলোচক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’ বিষয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য আহ্বান জানান। আলোচক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বক্তব্যের শুরুতেই আলোচনাসত্রের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর আলোচনা শুরু করেন। আলোচনার শিরোনাম হিসেবে ‘বিজ্ঞানের মেজাজ’ কথাটি তিনি কেন ব্যবহার করেছেন সে কথাটিও তিনি ব্যাখ্যা করেন। বক্তা সকলকে বিষয়টির প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে অবহিত করার চেষ্টা করেন। মুক্তধারার শ্রোতা-দর্শকেরা এদিন প্রায় এক ঘন্টা দশ মিনিট মন্ত্রমুগ্ধের মতো বিজ্ঞানের মেজাজ সম্পর্কিত এই মনোজ্ঞ আলোচনাটি শোনেন। শ্রোতা-দর্শকেরা মন দিয়ে মুক্তধারার আলোচনাসত্রটি উপভোগ করায় আয়োজকরাও পরিতৃপ্ত হয়েছেন।
ড. চট্টোপাধ্যায় এদিন চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কুসংস্কার থেকে শুরু করে কেরালার মতো রাজ্যে নরবলির কথা— অনেক কিছু সম্পর্কেই বলেন। আবার অতিমারিকালে আবির্ভূত হওয়া করোনাশুর বা ভাবিজি পাঁপড়ের মতো বিজ্ঞানের মেজাজ বিরোধী কুসংস্কারের কথাও তিনি আলোচনায় তুলে ধরেন। বিজ্ঞানের মেজাজ তৈরিতে অক্ষয়কুমার দত্ত থেকে শুরু করে প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু, গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো ব্যক্তিদের যথাসাধ্য প্রয়াসের কথা আলোচক স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপিত করেন। এমনকি সেদিন দুপুরে কৃষ্ণনগরে তাঁর এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথাও তিনি সভাকক্ষের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। মুক্তধারার ৪৩তম আলোচনাসত্রের অন্যতম আহ্বায়ক সম্পদনারায়ণ ধর বলেন, “আলোচক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সুন্দর একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সমগ্র বিষয়টি উপস্থাপিত করেন। আমাদের শ্রোতা-দর্শকেরা খুব মন দিয়ে সমগ্র আলোচনাটি শুনেছেন। আমাদের ভালো লাগছে এই ধরনের আলোচনা সকলকে শোনাতে পেরে।”
লেখক: অধ্যাপক, চাপড়া বাঙ্গালঝি মহাবিদ্যালয়, নদিয়া।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post