নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- চাকরি-সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকার ওপরে টাকা হাতড়ে চম্পট দিল দম্পতি। নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীর ঘটনা। আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত দম্পতি বিশ্বজিৎ মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার বাড়িতে টাকা ঝুলিয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার প্রতারিত মানুষজন মজুমদার বাড়ির সামনে ভিড় জমান। মজুমদার বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে তার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নৈহাটি থানার পুলিশ। পুলিশের কাছে প্রতারিতরা অভিযোগও জানান।
যদিও পুলিশ প্রতারক দম্পতির খোঁজ চালাচ্ছে। দেবযানী বৈরাগী নামে এক মহিলা জানান, প্রচুর ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়েছি বলে রোজ কান্নাকাটি করতো সোমাশ্রী। পিসি টাকা দাও বলে মাথা খারাপ করে দিত। শেষমেশ গহনা বন্ধক রেখে ১৫ লক্ষ টাকা ওকে দিয়েছি। কিন্তু এক টাকাও ফেরত দিল না। দুজনেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। সরস্বতী রজক নামে এক মহিলা জানান, ছেলে ওদের গাড়ি চালাতো। ছেলেকে ভাই বলে ডাকতো সোমাশ্রী। খুব বিপদে পড়েছি টাকার দরকার বলে তার কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে। টাকা চাইতেই নানা বাহানা দিচ্ছে সোমাশ্রী।
এই ঘটনা নিয়ে নৈহাটি পুরসভার সিআইসি সনৎ দে বলেন, বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলেছে বিশ্বজিৎ মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী সোমা লাহিড়ী মজুমদার। কারও থেকে ২ লক্ষ কিংবা ৫ লক্ষ অথবা ৮ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে ওরা চম্পট দিয়েছে। এমনকি ওদের মোবাইল ফোন সুইচ অফ। প্রতারিত মানুষজনকে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে বলেছি। প্রশাসনের উচিৎ যেকোন উপায়ে গরিব মানুষদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post