নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে ব্রাহ্মণ ঐক্য সংগঠনে একটি দুর্গাপুজোর প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় এবং এই শিবিরের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাইলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের শুরেকালনায় সারদা লজে ব্রাহ্মণ ঐক্য সংগঠনের আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে ব্লকের এবং ব্লকের বাইরে থেকে প্রায় শতাধিক ব্রাহ্মণ এখানে সমবেত হন প্রশিক্ষণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই সমগ্র প্রশিক্ষণ শিবির টি আয়োজন করেন ব্রাহ্মণ ঐক্য সংগঠনের প্রধান অমিত চক্রবর্তী ও সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে তাঁরা প্রধান অতিথী হিসাবে আমন্ত্রণ জানান জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান কে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণ ঐক্য সংগঠন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা নিদর্শন তুলে ধরেন।
কারণ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি এটাই এখানে এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে সানন্দে যোগদান করেন। মেহমুদ খান উপস্থিত সকল ব্রাহ্মণদের যথাযোগ্য সম্মান ও নমস্কার জানিয়ে বলেন দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এবং এখানে ব্রাহ্মণদের ভূমিকাই প্রধান কারণ বারোয়ারি বা বাড়ি, যে পুজোই হোক না কেন তাদের মঙ্গল কামনাই করেন পুরোহিত ঠাকুর রা। তাই যাতে সঠিকভাবে পূজো করা যায় সেই পদ্ধতি প্রত্যেককে শিখে নেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন কারণ জোট বড় প্যান্ডেল হক বা লাইট পুরোহিতদের কাজটি ই আসল।ব্রাহ্মণ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অমিত চক্রবর্তী বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। দুর্গাপূজা বাঙালির বড় উৎসব। গ্রাম বাংলার অনেক নতুন ব্রাহ্মণ যারা নতুন পুজো শিখছেন তারা সঠিক পূজা পদ্ধতি যাতে শিখে নিতে পারেন সেই জন্যই তাঁরা এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেন। এবং এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মধ্য দিয়ে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তারই বার্তা দিতে চাইলেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post