নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান :- সারা রাজ্যে প্রায় ১২০০০ কিমি সড়ক পথের উদ্বোধন করে পশ্চিমবঙ্গে এক অনন্য নজির গড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক সভা থেকে একটি সুইচ টিপে এই পথশ্রী- রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক- এর মধ্যে প্রায় ৮৬.৪ কিমি রাস্তা উদ্বোধন করেন তিনি। জামালপুরে মোট ২৯ টি রাস্তার উদ্বোধন হয়, যার আনুমানিক খরচ ২৫.৫ কোটি টাকা। জমালপুরের প্রতিটি অঞ্চলেই এই প্রকল্পে রাস্তা তৈরি হবে। এই উপলক্ষ্যে প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি জায়গাতেই সরকারি দায়িত্তপ্রাপ্ত আধিকারিক- রা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন জন প্রতিনিধিরা। ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভুতনাথ মালিক, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, জেলা অফিসার ইন চার্জ জেনারেল সমর দত্ত, জয়েন্ট ভিডিও গৌতম কুমার দত্ত সহ প্রধান, উপ প্রধান, বিভিন্ন অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির ও পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যা রা।
বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তাঁর ব্লক কে এতবড় একটি উপহার দেওয়ার জন্য। এই রাস্তা গুলো তৈরি হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে বলে তিনি জানান। অলোক মাঝি বলেন, রাজ্যে মঙ্গলবার এক বিপ্লব হয়ে গেল। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যের কোষাগার থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর জন্য আজ এতবড় একটা কাজ করলেন। তাঁর বিধানসভা তেও এতটা রাস্তা দেবার জন্য তিনি মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানান। ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, এতবড় উপহার জামালপুরকে এর আগে কেউ কোনো দিন দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে যে রাস্তার কাজ হয়নি সেগুলো এবার সব হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এতে খুবই উপকৃত হবে। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- কে প্রনাম ও কৃতজ্ঞতা জানান। এদিকে জামালপুর ব্লকে ৮৬.৪ কিমি রাস্তা হওয়ার জন্য এলাকার মানুষ খুব খুশি। যা তৃণমূলকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যথেষ্ট অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post