আমজাদ আলী, মালদা: রাজ্যের মানুষের জন্য সরকার চালু করেছে দুয়ারে সরকার, প্রকল্প। দক্ষিণ ভান্ডার স্বাস্থ্য সাথী রেশন কার্ড কৃষক বন্ধু সহ একাধিক প্রকল্পের যেকোনো সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এই দুয়ারে সরকার শিবিরে। রাজ্য সরকারের এই দোয়ারা সরকার প্রকল্পকে উৎসাহিত হয়ে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিঙ্গল গ্রামের এক খইরোকার নিতাই প্রমাণিক এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম, দুস্থ মানুষদের জন্য বিনামূল্যে সেলুন পরিষেবা দেওয়ার শুরু করেছেন। গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে সাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিনামূল্যে চুল দাড়ি কাটছেন নিতাই বাবু। তিনি সাইকেলে ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন দুয়ারে সেলুনে এক পোস্টার।
সপ্তাহে ছয়টি দিন তিনি নিজের সংস্কারের জন্য রোজকার করেন। বাকি একদিন নিখরচায় সেলুনের মাধ্যমে চুল দাড়ি কেটে পরিষেবা দিচ্ছেন তিনি। দুয়ারে সরকার প্রকল্প এজন্য চালু করা হয়েছে, উপকৃত হচ্ছে অনেক মানুষ। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে দেখে আমি এলাকায় ঘুরে ঘুরে দুস্থদের জন্য দুয়ারে সেলুন পরিষেবা দিচ্ছি। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজনেরা। জানা গিয়েছে নিতাইয়ের সংসারে রয়েছে তার স্ত্রি সন্তান ও তার বৃদ্ধ বাবা,মা। ভিঙ্গল গ্রামেই তার বসত বাড়ি। বাসের দরমার দেওয়াল ও পলিথিন জোর তালি দেওয়া রয়েছে তার বাড়ির ছাদ। এরকম একটি পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সামান্য কিছু রোজগার নিয়ে রুটিরুজির লড়াই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন খুদ চাচলের মহাকুমা শাসক কল্লোল রায়। তিনি বলেন ঐ যুবকের এই উদ্যোগকে সত্যি প্রশংসার যোগ্য।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post