দেবশ্রী মুখার্জী : টলিপাড়ায় বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবি বা শুটিং সম্পর্কিত অভিযোগ নতুন নয়। তবে এ বার অন্য ধরনের অভিযোগ এনেছেন পরিচালক শৌভিক দে। পরিচালকের নিশানায় টলিপাড়ার পরিচিত নাম অভিনেতা কৌশিক সেন। শৌভিকের ‘বরফি’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক। ছবির মুক্তি আসন্ন। কিন্তু পরিচালকের দাবি, এই ছবির প্রচারে অংশ নেননি কৌশিক। রাধিকা আপ্তের সঙ্গে হিন্দি ছবিতে ‘গোধুলি আলাপ’ সিরিয়ালের টলি অভিনেত্রী ঠিক কী ঘটেছে জানতে শৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
শৌভিক বললেন, ‘‘আগামী মাসে আমার ছবির মুক্তি। কৌশিকদা ছবির মুখ্য চরিত্রে। কিন্তু উনি ছবির প্রচারের অংশ হতে রাজি নন। এতে তো আমার ছবির ক্ষতি হয়ে যাবে।’’ শৌভিক টলিপাড়ার তরুণ পরিচালক। সেখানে কৌশিকের মতো অভিনেতা ছবির প্রচারপর্ব থেকে সরে দাঁড়ানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর কোনও উপায় না দেখে সম্প্রতি শৌভিক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নজরে আনেন ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘বরফি’ ছবির অন্যন্য কলাকুশলীরা। জানুয়ারি মাসে এই ছবির শুটিং শেষ করেন শৌভিক।
পরিচালকের কথায়, ‘‘যে দিন শুটিং শেষ হয়, সেদিনই আমি ওঁকে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দিই। উনি বড় মাপের অভিনেতা। চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছিল বলেই অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন। তার পরেও কেন এ রকম করলেন, বুঝতে পারছি না।’’ কৌশিক যে ছবির প্রচারপর্বে সময় দেবেন, নির্মাতাদের দাবি চুক্তিপত্রেও তা লেখা ছিল। পরিচালক বললেন, ‘‘ওঁর কাছে দু’দিন সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু কৌশিকদা জানিয়ে দেন যে, ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালকদের ছবির প্রচারপর্বেও তিনি নাকি থাকেন না! কিন্তু নতুন পরিচালকদের সঙ্গেও এটা হলে, সেটা তো বাংলা ছবির ক্ষতি।’’
এই বিষয়ে অভিনেতা কৌশিক সেনের হোয়াটঅ্যাপে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার কিছু বলার নেই। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত কাজের চাপে এই ছবির প্রচারে আমি থাকতে পারিনি।’’

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post