দীর্ঘদিন ধরেই মডেলিং এর সঙ্গে যুক্ত, নদীয়ার শান্তিপুরের মেয়ে, একাধিক বিজ্ঞাপনি প্রচারের অংশ হয়েছেন অনন্যা (Ananya Das)। নেগেটিভ বা পজেটিভ দুটোই সমান ভাবে পাল্লা দিয়ে চালাচ্ছে অভিনেত্রী। অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে অভিনয় এবং মডেলিং দুটোই। সোশ্যাল মিডিয়ার অনুরাগী নেহাত কম নয়, 24X7 News Bengal এর প্রতিনিধি অয়ন কুমার সাধুখাঁকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানায় অনন্যা দাস (Ananya Das) তার জীবনের অজানা কিছু কথা…
কেমন আছো?
আমি ভালো আছি,বিন্দাস আছি।
সামনেই দুর্গাপূজা, আর পূজোয় প্ল্যান কী?
পুজোয় আপাতত সেই ভাবে কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পরিবারের সাথে কাটাবো। হঠাত কোনো প্ল্যান হতেই পারে। আর সাথে আড্ডা, খাওয়া দাওয়া সেটা ফ্রি।
অভিনয়ে আসা কিভাবে? প্রথম থেকেই কি অভিনয় করতে চেয়েছিলে?
না আমি কখনো ভাবিনি অভিনয় করবো, এমনি পড়াশোনা করতাম। বড়ো হয়ে কি হবো এই কথা কখনো ভেবেই উঠতে পারিনি। হঠাত ই এক সুযোগ আসে হিরো বাইকের TVC বিজ্ঞাপনের, সেইখান থেকেই পথ চলা, আর নিত্য ফটো শ্যুটতো আছেই আর আমি সত্যিই খুব খুশি।
আপনার প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী কে?
অনেকেই আছেন, একজনার নাম বলা যাবেনা। উত্তম, সুচিত্রা আমার প্রিয়। নায়িকাদের মধ্যে ভালো লাগে কাজল, প্রীতি জিনতা, আলিয়া, দীপিকা। নায়ক হিসাবে আমার ভালোবাসা শাহরুখ খান এবং অক্ষয় কুমার।
পরিবার থেকে সাপোর্ট পেয়েছিলে?
হ্যাঁ প্রথম দিন থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। তারা আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত।They are more excited than me আমার কখন কি কাজ থাকে আমার থেকে বেশি তারা জানে।
অভিনয় করতে গেলে ভালো খারাপের সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি কোনো ঘটনা আছে তোমার জীবনে?
ভালো খারাপ সব কিছুতেই থাকে। তবে সত্যি বলতে খারাপ অভিজ্ঞতা এখনো পাইনি । আর যদি কিছু সমস্যা হয়ে থাকে আমি শিক্ষা হিসাবে স্বীকার করবো। তবে ভালো অবশ্যই ঘটেছে। প্রজেক্ট পাওয়ার মুহূর্ত , প্রথমদিন ক্যামেরা ফেস করার মুহুর্ত এগুলো ভোলার না। সারাজীবনের স্মৃতি।
আচ্ছা মডেল অনন্যা (Ananya Das) না অভিনেত্রী অনন্যা (Ananya Das) কোনটা বেশি প্রিয়?
আমি প্রথমে মডেল,কারন পথচলা শুরু মডেলিং দিয়েই, তারপর আমি অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনেত্রী অনন্যা কে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।
প্রথম যেদিন ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন তার অভিজ্ঞতা কেমন?
প্রথমদিন আমি শুটিং কি জিনিষ জানতাম না। শ্যুটিং ক্যামেরা কেমন হয়? পরিচালক, ডিওপি কিচ্ছু বুঝতাম না। কেমন ভাবে সংলাপ বলতে হয় কেমন ভাবে অভিনয় করতে হয় কিছু জানতাম না। তাই প্রথম দিন আমি খুব নার্ভাস ছিলাম, আবার উত্তেজিত ও ছিলাম। সবাই আমকে অনেক হেল্প করেছিলো। কিন্তু ওই Light Camera Action কথাটা মনে লেগে গিয়েছিলো, ভালোবেসে ফেলেছিলাম।
তোমার জীবনের সুপারস্টার কে?
আমার জীবনের সুপারস্টার আমার বাবা এবং আমার মা।
এত ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে সময় দাও কি করে?
মেগা চলা কালিন নিজেকে টাইম দেওয়া তা খুব ই চাপ হয়ে যায়, কিন্তু ১০ মিনিট হলেও নিজেকে দিই, নিজে যদি মনে করি সময় দেবো,তাহলে হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও সময় দাওয়া যায়।
কোন চরিত্রটা সবথেকে বেশি প্রিয়,?
এটা আমার শুরু, তাই আমার সব চরিত্রোই পছন্দের। যে চরিত্র পাবো সেটই ভালো করে করতে চাই। তবে Jab we met er গীত ক্যারেক্টর টা করতে ইচ্ছা আছে।
পরবর্তীতে অনন্যা কে কোন ধারাবাহিকে দেখতে পাবো?
এটা সারপ্রাইজ থাক।
কোন কাজ গুলো বেশি প্রিয়?
আপাতত কাজ বলতে স্টার জলসায় দেশেরমাটি ও সান বাংলায় আদরের বোন সিরিয়াল করেছি। ওয়েবসিরিজ করেছি লিপলক, অ্যাড্ডাটাইমস ই স্ট্রিমিং হয়েছিলো। এগুলো সবই প্রিয়।
দেশের মাটিতে নেগেটিভ আর আদরের বোন এ পজেটিভ কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং?
দেখো চ্যালেঞ্জিং বলতে দুটোই, পজেটিভ হোক বা নেগেটিভ দুটোই। কারণ যেটাই করবো সেটাই অভিনয় দিয়েই করতে হবে তবে নেগেটিভ টা একটু বেশিই চ্যালেঞ্জ।
অনুগামীদের কী বলবে?
অনুগামি দের বলবো সামনেই পুজো, সবাই খুব মজা করে পুজো কাটান, আনন্দে থাকবেন, সুখে থাকবেন। আগাম শুভ শারোদিয়ার প্রীতি শুভেছা এবং ভালোবাসা। আর যে ভাবে আমার পাশে ছিলেন, পাশে থাকবেন আর এই ভাবেই ভালোবাসবেন।
আচ্ছা (Ananya Das) তোমার ছোটবেলা কোথায় কেটেছিল?
ছোটবেলা কেটেছে নদীয়ার শান্তিপুরে . আমার পড়াশোনা, স্কুল কলেজ সবই শান্তিপুরে।
বড় পর্দায় কাজ?
বড়ো পর্দায় কাজ করা হয়ে ওঠেনি, তবে কথা চলছে, আগামী টা আগামীতেই জানতে পারবেন।
প্রেম করছেন?
না। তবে ভালোবাসি একজনকেই সেটা ” ক্যামেরা” কে।
অনন্যার (Ananya Das) কাছে ভালো থাকার টিপস?
সবসময় পজিটিভ থাকা, মন ভালো রাখা, জল এবং ঠিক মতো খাবার খাওয়া ব্যাস।
ডায়েট করছো?
এটাই তো পারলাম না আজ অবধি । আমি সব খাই, মাছে ভাতে বাঙালি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post