অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- এক বছর হয়ে গেল ছাত্র নেতা আনিস খান খুন হয়েছে। আনিসের মৃত্যুর পর এখনও সি বি আই তদন্তের দাবিতে অনড় আছেন মৃত আনিস খানের বাবা সালেম খান। ডি ওয়াই এফ আই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি সহ ডি ওয়াই এফ আই এর অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ সালেম খানের সঙ্গে দেখা করতে আমতার বাড়িতে এলে সালেম খান বলেন, ‘ ছেলের মৃত্যুর তদন্তে সি বি আই তদন্তের দাবি আমি এক বছর ধরে করে আসছি। এখন ও আমি সেই দাবিই করছি ‘ ।
ডি ওয়াই এফ আই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি মৃত ছাত্র নেতা আনিস খানের আমতার বাড়িতে তার বাবা সালেম খানের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে জানান, ‘ আমরা সালেম কাকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কাকার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলাম ‘ । মীনাক্ষী মুখার্জি আনিসের মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘ আমাদের রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই মৃত্যুর সঠিক বিচার দিতে পারেন না, তখন এর বিচারের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে ‘ । তিনি আরও বলেন, ‘ সরকারের উচিত মানুষের কথা শোনা। মানুষের সুখে -দুঃখে পাশে থাকা। কিন্তু সরকার যখন মানুষের কথা শোনে না, মানুষের সুখে -দুঃখে পাশে থাকে না, বোবা -কালা হয়ে যায়, তখন মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে অন্য রাস্তা বের করতে হয় ‘ ।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে চাকরির প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘ চাকরি দিতে পারবে না জেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের যুবদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন কালে একের পর এক দূর্ণীতি ধরা পড়ছে। মন্ত্রী, বিধায়ক,আমলারা যখন জেলে যাচ্ছে,তখন মুখ্যমন্ত্রী দূর্ণীতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে সাফাই দিচ্ছেন,এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ‘। মৃত আনিস খানের বাবা সালেম খান বলেন, ‘ সি বি আই তদন্ত না হলে আমি আমার মৃত ছেলে আনিসের মৃত্যুর সঠিক বিচার পাবো না। আমি আইনের ভরসায় আছি। আমার আশা আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় সি বি আই তদন্ত হবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post