সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এর আগে একই প্রশ্ন তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বলেন, “বিজনেস সামিটের নামে বেকারদের প্রতারিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজনেস সামিটের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কোটি কোটি চাকরি হবে বলে মমতা যুবকদের প্রতারিত করছে। বার বার কুমিরের ছানা দেখানো হচ্ছে। এটা একটা রাজনৈতিক অপরাধ।”
আরো পড়ুন পাটশিল্প বাঁচাতে বাংলা-সহ আরও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের দাবি করে চিঠি অর্জুন সিংয়ের
সেই সঙ্গে অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) আরও সংযোজন, “মমতার আমলে কত শিল্প হল এবং কত উঠে গেল তার হিসেব চাই। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে বেকাররা অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।” উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে উদ্যোগপতিদের সামনে দেউচা পাঁচামিকে তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দেউচার কয়লা খনি প্রকল্প নিয়েও শুক্রবার বিকেলে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। বলেন,”দেউচা পাঁচামিতে নাকি এক লক্ষ চাকরি হবে। কীভাবে হবে? কী লাভজনক প্রকল্প? যাদের জমি নেওয়া হচ্ছে , তাদের সিভিক পুলিশ, জুনিওর কনস্টেবল-এর চাকরি কেন দেওয়া হচ্ছে? দেউচায় খোলা মুখ খনি হবে না কী হবে… লাভজনক কয়লা প্রকল্প হবে কি না, স্পষ্ট নয়।”
আরো পড়ুন Firhad Hakim: বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষকে খোঁচা ফিরহাদ হাকিম এর
রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও মুখ খোলেন অধীর বাবু (Adhir Ranjan Chowdhury)। বললেন, “ধর্ষণ নিয়ে আপনি বিরোধী নেত্রী হিসেবে সিবিআই ছেয়েছেন । এখন আমরা চাইলে আপত্তি কেন? সিবিআই কিছু করতে পারে না , এটা বলার আগে বুঝতে হবে বাংলার মানুষ কেন আপনার পুলিশকে বিশ্বাস করছে না। দলদাস পুলিশ। আমরা কোর্টের অধীনে সিবিআই চেয়েছি তপন কান্দু ইস্যুতে । আজও তাঁর পরিবারকে শাসাচ্ছে আপনার পুলিশ। তৃণমূলকে বাঁচাতে পুলিশের তৎপরতা। আপনি নিজের রাজ্যে অপরাধ করে অন্য রাজ্যে অপরাধ ধরতে যাচ্ছেন।” এর পাশাপাশি আক্রমণ শানান বিজেপিকেও। তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বিজেপি আবার বিভিন্ন জায়গায় অপরাধ করে এই রাজ্যে অপরাধ ধরতে আসে । একই মুদ্রার দুই পিঠ। হাথরস আর হাঁসখালি কোনও মৌলিক পার্থক্য নেই । দুই পরিবারই গরিব , দেহ দু জায়গা তেই পুড়িয়ে দেওয়া হল। মমতা আর যোগীর একই রাজনৈতিক চরিত্র। মানুষ সিবিআই চাইছে কেন? কারণ রাজের পুলিশের ওপর আস্থা নেই।”
Discussion about this post