তনুময় দেবনাথ : কোচবিহারে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম দুইটি প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল ভেটাগুড়ি ১ এবং ভেটাগুড়ি দুই। দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা বানিয়াদহ নদীর উপরে ব্রিজের কাজ শুরু করলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন এবং কোচবিহার জেলা পরিষদ। সোমবার এই ব্রিজের কাজের শুভ উদ্বোধন করেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, কর্মাধক্ষ্য নুর আলম হোসেন সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও অন্যান্যরা। বানিয়াদহ নদীর উপরে সেতু না থাকার কারণে এই দুই অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছিল। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই এই ব্রিজের দাবি জোড়ালো হয়। কিন্তু মাঝের দুই বছর করোনা কালে কাজ করা সম্ভব হয়নি।
শেষমেষ ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেতুর কাজের শুভ উদ্বোধন হলো এদিন। আব্দুল জলিল আহমেদ জানান, এই সেতুর মাধ্যমে দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবে। অনেকদিন আগে থেকেই এই সেতুর দাবি ছিল। প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় এই সেতু নির্মাণ করা হবে। ৩৬ মিটারের এই সেতু দ্রুত হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা টিকিয়া দেবনাথ জানান, এই সেতু না থাকার কারণে অনেকটা রাস্তা ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হয়ে যেতে হতো ভেটাগুড়িতে। আমাদের এখানকার মূল বাজার এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এই সেতু হওয়ার কারণে এখন ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক উপকার হবে। এই সেতুর কাজ দ্রুত সমাধান হয়ে যাওয়ায় এলাকার দুই পাস মিলিয়ে প্রায় এগারোটি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। আজকে আমরা ভীষণ খুশি এই সেতুর কাজ শুরু হওয়াতে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post