প্রীতম ভট্টাচার্য : বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিবেশ বন্ধুর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা প্রচার করছেন। এবারের গন্তব্য ছিল অক্ষয় বিদ্যাপীঠ। ৪ঠা আগস্ট ২০২২ (বৃহস্পতিবার), ‘কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু’-র পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগরের অক্ষয় বিদ্যাপীঠ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে যাওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে নানা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও শহরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্ষয় বিদ্যাপীঠ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অক্ষয় বিদ্যাপীঠ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ইতিমধ্যে শহরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিজের স্বতন্ত্রতা ব্যক্ত করতে পেরেছে।
১৯৩৭ সাল থেকে অক্ষয় বিদ্যাপীঠ তার পথ চলা শুরু করেছে। আর মাত্র দেড় দশক পরেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার শতবর্ষে পদার্পণ করবে। কৃষ্ণনগরের পরিবেশ সংগঠন ‘কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু’-র সদস্যরা অক্ষয় বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতার পাঠ দিতে গিয়ে অনুধাবন করেন যে, ইতিমধ্যে সেখানকার শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট পরিবেশ সচেতন। পরিবেশ বন্ধুর সদস্যরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা করেন। প্রধান শিক্ষিকা সাগরিকা দাশগুপ্ত-সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা এবং শিক্ষাকর্মীবৃন্দরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধুর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক বলাইচন্দ্র দাশ, তরুণকুমার সাহা, মমতা বিশ্বাস এবং অধ্যাপক দীপাঞ্জন দে।
স্কুলে স্কুলে কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধুর সদস্যরা যে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছেন, তার প্রধান উদ্দেশ্যই হল শিক্ষার্থীদের পরিবেশ ভাবনাকে সঠিকভাবে পরিস্ফুটিত করে তোলা। ইতিমধ্যে যার ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের স্কুলের মাস্টারমশাই, দিদিমণিদের নেতৃত্বে এবং পরিবেশ বন্ধুদের সহযোগিতায় ইকো ব্রিক, কাগজের ব্যাগ প্রভৃতি তৈরি করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পরিবেশ বন্ধু দীপাঞ্জন দে স্কুলগুলিতে তাদের পরিবেশ সচেতনতামূলক অভিযান প্রসঙ্গে বলেন যে, আমরা আশা করছি এই ধারাবাহিক অভিযানগুলির ফলে আগামী দিনে আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আমাদের সাথে হাত মেলাবে এবং দূষণমুক্ত পরিবেশের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post