আমজাদ আলী,মালদা:: জাতীয় সড়কে সাইড দেওয়া নিয়ে বাস চালকের সঙ্গে বচসায় জড়ালো এক অটোচালক।এই ঘটনায় ওই অটো চালকের বিরুদ্ধে বাস চালক সহ খালাসী এবং কন্টাকটার কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে আজকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের রাড়িয়াল বাস স্ট্যান্ড এলাকায়।ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এদিন সকাল বেলায় হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে একটি বাস মালদা অভিমুখে রওনা দেয়।তুলসীহাটা পার করে রাড়িয়াল বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক পথচারী কে সাইড দিতে গিয়ে চাঁচল এর দিক থেকে আশা একটি অটোর দিকে সরে যায় বাসটি।এরপরই ওই অটোচালক এবং অটোয় থাকা কয়েকজন যাত্রী অটো থেকে নেমে ওই বাসটিকে আটকে গাড়ি থেকে বাসচালক কে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে।আহত বাসচালক কে বাঁচাতে এসে ওই বাসের কন্টাকটার এবং খালাসিও নিগৃহীত হন।ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এরপরই আহত বাস চালক,খালাসি এবং কন্টাকটার কে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত বাসচালক কৃষ্ণ দাস জানান ‘আমি বামদিক হয়ে বাস নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে চাঁচলের দিকে যাচ্ছিলাম।সামনে এক পথচারী চলে আসায় ওই পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে আমি সামান্য ডান দিকে চলে আসি।উল্টো দিক থেকে আসা এক অটোচালক আমি ডানদিকে কেন এসেছি এই কথা জানতে এসে আমাকে বেধড়ক মারধর করে।আমাকে বাঁচাতে এসে বাসের কন্টাটর এবং খালাসিও আহত হয়।
বাসচালক ইউনিয়নের চাঁচল মহকুমার সভাপতি প্রকাশ সিংহ জানান আমরা চাই এই ঘটনার সম্পূর্ণ রূপে তদন্ত করুক পুলিশ এবং অভিযুক্ত অটোচালকের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।না হলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য মহকুমা জুড়ে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখবো।যদিও এ প্রসঙ্গে অটোচালক ইউনিয়নের সদস্যরা কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post