#মুম্বই: করোনায় (Corona) বহু অভিনেতাই ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিচ্ছেন। আবার অনকেই নিজেরা ত্রাণ তহবিল গড়ে অর্থ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে এবার নিজের ব্লগে লিখলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। বললেন নিজে অর্থ দিয়ে সাহায্য় করলেও কেন কোনও ত্রাণ তহবিল গড়েননি করোনার জন্য। বিগবি জানালেন, নিজে সামর্থ মতো অর্থ প্রদান করলেও, তাঁর অন্যদের থেকে টাকা চাইতে অস্বস্তি হয়।
নিজে অর্থ প্রদান করেছেন বিগবি। সে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। নেটিজেনরা সে কারণে তাঁকে ট্রোলও করেছেন। কিন্তু অমিতাভ শনিবার তাঁর ব্লগে লিখেছেন, প্রশংসা পাওয়ার জন্য তিনি নিজের অর্থ প্রদান করার কথা শেয়ার করছেন না। সত্যিই যে সাহায্য করা হচ্ছে এবং তিনি কোনও ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না তা বোঝানোর জন্যই শেয়ার করছেন।
তিনি লিখছেন, আমি যেখানে পারছি অর্থ দিচ্ছি। আমার অর্থ সত্যিই সীমিত। দেখে তা মনে হয় না। কিন্তু সত্যই তাই। তিনি আরো লিখেছেন, আমি ত্রাণ তহবিল তৈরি করে প্রচারের মাধ্য়মে অর্থ সংগ্রহ করিনি। ফান্ডে অর্থ দেওয়ার জন্য টাকা চাইতে আমার অস্বস্তি বোধ হয়। যদিও সরকারি বিজ্ঞাপনে এই কাজ করেছেন, এও স্বীকার করেন বিগবি। কিন্তু বাস্তবে সরাসরি অর্থ সাহায্যের জন্য তিনি বলতে অস্বস্থি বোধ করেন।
এই সময়ে অন্যান্য বহু তারকাই ফান্ড তৈরি করে অর্থ সংগ্রহ করছেন। বিগবি লিখছেন, শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সঙ্গে বলছি, কিছুক্ষেত্রে আমি একা যা টাকা দিয়েছি তা ওই প্রচারের মাধ্যমে তৈরি তহবিলের অর্থের সমান। আমি অন্যের কাছে চাইনি। নিজেই দিয়েছি। অমিতাভ সম্প্রতি তাঁর ব্লগের মাধ্যমেই জানিয়েছিলেন তিনি করোনাক ত্রাণে নিজে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা ও ক্রিকেটার বিরাট কোহলি করোনার জন্য ত্রাণ তৈরি করেছেন। তাঁরা নিজেরা ২ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং এছাড়াও অর্থ সংগ্রহ করেছেন। নিজেদের সাহায্য মিলিয়ে মোট টাকা উঠেছে ১১ কোটি টাকা।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post