নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- ভাটপাড়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর ঝাউতলায় নিকাশি খালের ওপর জবরদখল দোকান, ক্লাব, পার্টি অফিস উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। গত ২৯ ডিসেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার তরফে নোটিশে সাতদিনের মধ্যে সমস্ত দোকান ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উচ্ছেদের নোটিশের পর অধিকাংশ দোকানদার নিজেরাই ভেঙে ফেলেন। পুর প্রশাসক গোপাল রাউত, জগদ্দল থানার আই সি প্রদীপ কুমার ডানের উপস্থিতিতে বাকি দোকানগুলো, ক্লাব ও পার্টি অফিস জেসিবি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
এদিন এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির চায়ের দোকানও ভেঙে ফেলা হয়। দোকানদার সমীর মন্ডলের অভিযোগ, ২০ বছর ধরে দোকান করে সংসার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু পুরসভার দোকান ভেঙে দিল। পরিবার নিয়ে কিভাবে বাচঁব, তা ভেবে পাচ্ছিনা। পুর প্রশাসক গোপাল রাউত বলেন, ঝাউতলা খালের ওপর দোকানপাট থাকায় সাফাই করতে অসুবিধা হচ্ছিল। ঠিকমতো সাফাই না করায় খালটি মজে গিয়েছিল। ফলে প্রতি বর্ষনে পাচঁটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ছিল।
আরো পড়ুন ভাটপাড়া থানা ও পুরসভার যৌথ প্রয়াসে বাইক আরোহী ও পথচলতি মানুষের মধ্যে হেলমেট ও মাস্ক বিলি
এবার খালটি ভালো করে পরিস্কার করা যাবে। যাতে খাল সংলগ্ন এলাকায় জল না দাঁড়ায়। পুনর্বাসনের বিষয়টি পরে ভেবে দেখার আশ্বাস দিলেন পুর প্রশাসক গোপাল রাউত। এই উচ্ছেদ প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, রেলের জমি দখলদারের উচ্ছেদের সময় পুনর্বাসনের দাবি তুলে বাঁধা দেওয়া হয়। ফলে রেল অনুমোদিত ব্যক্তিদের ওই জমি দিতে পারে না। অথচ শ্যামনগরে পুনর্বাসন না দিয়েই গরিব মানুষের রুটিরুজির জায়গা কেড়ে নেওয়া হল।
Discussion about this post