সুরশ্রী রায় চৌধুরী: আসন্ন আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গড়বে বিজেপি। দলীয় সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপির সেন্ট্রাল পার্টি অফিসে জেলা সভাপতি দিলীপ দে, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক অজয় পোদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই দাবি করেছেন।
আরো পড়ুন আগামী ৮ ই জানুয়ারি থেকে শনি ও রবিবার মেট্রোর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে
তার পরেই তিনি জানান, বোর্ড গঠনের পরেই মানুষজনের সমস্যা শুনে সমাধানের লক্ষ্যে দুয়ারে কাউন্সিলার, পাড়ায় মেয়র কর্মসূচি শুরু করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সমস্যার দ্রুত নিরসনে বিজেপির বোর্ড প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে। সেই অফিসারের বেতন আগেই নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাক্তন মেয়র আরও জানান, নোডাল অফিসারকে ২১ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পুরনিগম থেকে দেওয়া হবে। এদিকে ভোটের আগে বিজেপির এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ ঘটকের টিপ্পনী, “স্বপ্ন দেখা ভাল, কিন্তু দিবাস্বপ্ন দেখছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি”। তিনি আরও যোগ করেন, “বিধানসভা ভোটের আগে তো বিজেপি তাদের সমীক্ষায় সরকার গঠন করে ফেলেছিল। ২০০- র বেশি আসন পেয়েছিল। বাস্তবে ১০০ পার করতে পারেনি। আসানসোল পুরনিগমের ভোটে ১০৬টি আসনই তৃণমূল গঠন করবে”।
আরো পড়ুন জগদ্দলে আকাশ যাদব খুনে পাঁচ অভিযুক্তকে আদালতে হাজিরার নোটিশ সাঁটাল সিবিআই
আর বিজেপির দুয়ারে কাউন্সিলর ও পাড়ায় মেয়র ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিদির সমস্ত প্রকল্পগুলো বিজেপি নকল করছে। কন্যাশ্রীর নকল করে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও হয়েছিল। কিন্তু ফ্লপ প্রকল্প। ওদের মৌলিক কোনও চিন্তাভাবনা নেই। এতে বিজেপি এখানে হালে পানি পাবে না”। এমনকী তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন দ্বিতীয় স্থানেও বিজেপি থাকতে পারবে না। সবমিলিয়ে ভোটের আগে কার্যত জোর লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে আসানসোলে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post