সুরশ্রী রায় চৌধুরী: রাজ্যের পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় শপথ নেওয়ার পরেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের সঙ্গে তার দ্বিতীয় ইনিংসটি, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম ইনিংসের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল হবে। বাবুল সুপ্রিয়, গত বছর বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। তাকে সমর্থন করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘আমার সত্যিই এই কাকতালীয় ঘটনা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। হ্যাঁ, জীবন অবশ্যই বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে। গত বছর আগস্টে যখন আমি (বিজেপি) ছেড়েছিলাম, এবং আজ আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছি।। বাবুল বলেন ‘দিদির হাত দিয়ে পোয়েটিক জাস্টিস এসেছে। কারণ আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম, এবং তিনিই আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন, আমাকে সাহস যোগান এবং আমাকে বালিগঞ্জ আসনের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন এবং তারপরে পুরো দল আমাকে সমর্থন করেছিল।‘
তবে বাবুল সুপ্রিয়র খবর সামনে আসতেই নাম না করে বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) পোস্ট। লেখেন, ‘‘একটি বস্তা থেকে কয়েকটি পচা আলু ফেলে দিয়ে, অন্যের ফেলে দেওয়া পচা আলু আবার নিজের বস্তায় ভরে নেওয়া আজ প্রথম দেখলাম।’’ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই ট্যুইট বক্তব্যের ইঙ্গিত যে বাবুল সুপ্রিয় ও তাঁর দল তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করেই বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post