সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বগটুই ‘হত্যাকান্ডে’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাতে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল অনুব্রত মন্ডলের। ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করেই রাঘব বোয়ালদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে বলেও বিরোধীদের অভিযোগ। সিবিআই তদন্তভার নেওয়া মাত্র তৃণমূলের বীরভূম জেলার হর্তাকর্তারা প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। এমনিতেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব়্যাডারে আছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। এবার বগটুই গণহত্যায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে কেষ্ট মন্ডলদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। বিরোধীরা এখন থেকেই বলতে শুরু করেছে কান টানলে মাথা আসে।
আরো পড়ুন Petrol Diesel price hike: লিটার প্রতি ২.৪৭ টাকা বাড়ল পেট্রোল এর দাম
ব্লক সভাপতি গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে গণ হত্যার আগাম আঁচ আনারুল দের কাছে থাকলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সেই আভাস ছিল না তা কি বিশ্বাস যোগ্য। গণ হত্যা ঘটে যাওয়ার পর দিন সকালেও কেষ্ট মন্ডল দাবি করেছে ওখানে শর্ট সার্কিট হয়েছে। তার মানে অনুব্রত আসল ঘটনা জেনেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলার মানুষ। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেবে, বিরোধীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। বিরোধীরা মনে করছে, এই ঘটনার জের কেবল নীচুতলার ক্ষেত্রেই নয়, শাসকদলের ওপরতলা পর্যন্তও এর অভিসন্ধি ছড়িয়ে রয়েছে। বিরোধীরা আগে থেকেই দাবি করছিলেন, কান টানলে মাথা আসে।
আরো পড়ুনRampurhat Violence HC: বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
কিন্তু বারবারই প্রশাসন ও আইনের খাঁড়া নেমে এসেছে নীচু তলার কর্মীদের ওপর। তাঁদের সঙ্গেও যে জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, তার দাবি তুলছিলেন বিরোধীরা। এখন সিটের কাছে আনারুল শেখ কী জবানবন্দি দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা।
Discussion about this post