সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বগটুইয়ের নৃশংসতার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নন্দীগ্রামে মিছিল করেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদ মিছিল শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পুরুষ মানুষদের না পেয়ে ভাদু শেখের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেদের বাড়ি থেকে টেনে মহিলাদের ও শিশুদের কুপিয়েছে।” শুভেন্দুর অভিযোগ, “বাইক বাহিনী ঢুকে গ্রামে হামলা চালায়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।”
ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপেও দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। নন্দীগ্রামে ৬৫ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার আছে। ৫৪ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার ভোট দিয়েছেন। ৯০ শতাংশেরও বেশি। তার মধ্যে আমি পেয়েছি মাত্র ৪০০ টি ভোট। মীনাক্ষি পেয়েছেন ১২০০ সংখ্য়ালঘু ভোট। বাকি ৫২ হাজারেরও বেশি ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে গিয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ করেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের বলা হয়েছে, এনআরসি আসবে। এনআরসি এলে বিজেপি সবাইকে গাড়ি করে তুলে পাঠিয়ে দেবে ডিটেনশন ক্যাম্পে।
আরো পড়ুন ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ডেপুটেশন দিনহাটায়
এভাবে সারা রাজ্যে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট নেওয়া হয়েছে।” শুভেন্দু অধিকারী এরপর আরও বলেন, “ভোট দিয়ে আপনারা কী পাচ্ছেন? আমতাতে আনিস খানে একটা ফেসবুক পোস্ট করার জন্য ছাদ থেকে মেরে ফেলে দেওয়া হল। বগটুই গ্রামে নিরীহ সংখ্যালঘু মহিলাদের, যাঁরা কোনও রাজনীতি করেন না, তাঁদের মধ্যযুগীয় বর্বরতায় কুচি কুচি করে কাটা হয়েছে। যেমন ১০ নভেম্বর লক্ষ্মণ শেঠরা ১১ টা দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে কুচি কুচি করে কেটে সাগরে ফেলেছিল, ঠিক একইভাবে বগটুইয়ে মহিলা ও শিশুদের কুচি কুচি করে কেটে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।”উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বগটুই কাণ্ডে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গীয় বিজেপি নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী বগটুইয়ের ঘটনায় সিটের তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও পদ্ম নেতাদের সেই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না শাসক দলের নেতারা। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের প্রতিবাদ মিছিল শেষে রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়ালেন।
Discussion about this post