ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নীতি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর কুঠারাঘাত

দেবশ্রী মুখার্জী : ১লা মে শ্রমিক দিবস শ্রমিকের ঐক্য সংহতি এবং পরিমিত কাজের জন্য সংগ্রামের প্রতীক একটি দিন। ১লা মে ২০২২ শ্রমিক দিবসের দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে ALL INDIA NATIONALISED BANKS OFFICERS’ FEDERATION এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করা হয় কারণ সমস্ত ব্যাঙ্ককিং ইন্ডাস্ট্রি সরকারের বিভিন্ন ভ্রান্তনীতির এবং আইন প্রনয়নের সম্মুখীন হচ্ছে যার জন্য ব্যাঙ্ককিং ইন্ডাস্ট্রি মোটেও দায়ী নয়। বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপের জন্য ব্যাংকে NPA এর পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা গুলোকে বাঁচানোর জন্য সরকার ব্যাংকগুলোকে প্রথমে সংযুক্তিকরণ করছে এবং পরে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

আরো পড়ুন Kishmish Film Review: মিষ্টি জুটি দেব-রুক্মিণীর ছবি ‘কিশমিশ’ এর রিভিউ

ব্যাঙ্কে ক্রমাগত মুনাফা বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও সরকার জাতীয়কৃত ব্যাঙ্ক গুলিকে বেসরকারিকরণ করার নীতি নিয়ে চলছে ফলে জাতীয় সম্পদের ধ্বংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ জাতীয় ব্যাঙ্ক বৃহত্তম সংগঠন AINBOF এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস মহাশয় এর উপস্থিতি ও তাদের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ২০২১-২২ সালের বাজেটে ঘোষণা করা দুটি সরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করা হবে, সেই নীতির তারা বিরোধিতা করে জানান বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্প এই জাতীয়কৃত ব্যাংকগুলোর দাঁড়ায় বিস্তারিত হচ্ছে এবং গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছে একমাত্র জাতীয়কৃত ব্যাঙ্কগুলি ভরশা কারণ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জাতীয় ব্যাঙ্কের শাখা আছে সেখানে কোন প্রাইভেট ব্যাঙ্কের শাখা নেই। তারা এও জানান, এক লাখের বেশি সরকারি ব্যাঙ্ক গুলোতে বিভিন্ন পদ খালি পড়ে আছে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের পরিবর্তে, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ করছে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের সম্পদ ঝুঁকির মুখে পড়েছে এটি সাধারণ খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত মানুষের সম্পদকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়া। সরকারের এরূপ নীতি জনবিরোধী এবং শ্রমিক বিরোধী।

আরো পড়ুন Raavan Bengali Film Review: ‘রাবণ’ ছবিটা কেমন হল, কতটা জমল এই ছবি? জেনে নিন

তাদের দাবি ৬.৪২ লক্ষ্য গ্রামের মধ্যে মাত্র ৫০,০০০ গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে বাকি গ্রামাঞ্চল গুলিতে ব্যাংকের শাখা বিস্তারিত করতে হবে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ।ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ বা বেসরকারিকরণ করে নয়। সাধারণ মানুষের জন্য আমানতে সুদের হার বৃদ্ধি এবং ব্যাঙ্কের পরিষেবার চার্জ কমানোর দাবি করেন। তারা এও জানান আদানি এবং আম্বানি গ্রুপের নেট NPA ব্যাংকিং সেক্টরের মোট কর্পোরেট NPA থেকে বেশি এই ধরনের বড় পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার বিভিন্ন’ হেয়ারকাট’ নীতি তৈরি করেছে যা ওই সম্পদের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ব্যাহত করেছে।