অনল জানা, হাওড়া : বাঙালি নারীকে যৌন হেনস্থাকারী হিন্দি সিনেমা পরিচালক ভিভেক অগ্নিহোত্রী বাংলাকে কাশ্মীরের সাথে তুলনা করে এই পবিত্র মাটিকে অপমান করেছে। বাংলা ও বাঙালি এই অপমান মানবে না। প্রতিবাদে কলকাতার রানুছায়া মঞ্চে বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ কর্মসূচী করল বাংলা পক্ষ৷ বাংলাকে “কাশ্মীর” বলে রবি ঠাকুর, কবি নজরুল, রামকৃষ্ণ, লালন সাঁই, চৈতন্যের এই মাটিকে অপমান করেছে এই বহিরাগত। বাংলা পক্ষ বাঙালি নারীকে যৌন হেনস্থাকারী ভিভেক অগ্নিহোত্রীকে ধিক্কার জানায় বাংলা পক্ষ। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দিল্লির শাসক দলের পা চাটা কিছু সারমেয় বাংলাকে অপমান করতে নেমেছে, বাঙালি আর এইসব সহ্য করবে না৷
আজ বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচী করল, প্রতিবাদে গর্জে উঠলো বাংলা পক্ষর সহ মেরুদণ্ড সোজা থাকা বাঙালিরা। ভিভেক অগ্নিহোত্রী এরপর বাংলায় এলে সেখানে উপস্থিত থাকবে বাংলা পক্ষ। বাংলার মাটিতে বাঙালি নারীকে যৌন হেনস্থাকারী বহিরাগতর কোনো ঠাঁই নেই৷
সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার মাটিতে বাঙালি নারীকে যৌন হেনস্থাকারী ভিভেক অগ্নিহোত্রীর কোনো জায়গা নেই৷ বিজেপি করা বাঙালি ঘরে জন্মানো মীরজাফর-বিভীষণদের কোনো লজ্জা নেই? বাংলাকে অপমান করছে যৌন হেনস্থায় এক অভিযুক্ত, আর সেখানে ওরা হাততালি দিচ্ছে, জলের বোতল এগিয়ে দিচ্ছে। ছি ছি। আগামীতে ভিভেক অগ্নিহোত্রী বাংলায় এলে বাংলা পক্ষ কলকাতা এয়ারপোর্টে প্রস্তুত থাকবে ওনাকে আপ্যায়ন করতে। এরপর যেন বাংলাকে অপমান করার সাহস না দেখান।”
শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “হিন্দু বাঙালি সহ ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রতিটা বাঙালির দুর্দশা ও আসামে বাঙালির আত্মহত্যা নিয়ে “আসাম ফাইলস” বানানোর দম আছে বাঙালি বিদ্বেষী ভিভেক অগ্নিহোত্রীর? ধর্ষণে ভারতের মুখ পোড়ানো উত্তর প্রদেশ নিয়ে “উত্তরপ্রদেশ ফাইলস” বানানোর ধক আছে ভিভেক অগ্নিহোত্রীর? চ্যালেঞ্জ করছি।”

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post