দেবশ্রী মুখার্জী: সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নজরে আসে উত্তর ২৪ পরগণার আড়িয়াদহে “হোলি চাইল্ড” নামের একটা স্কুলে বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে ছাঁটাই করা হয়েছে, কারণ বলা হয়েছে, বাংলা এখানে অস্তিত্বহীন ভাষা (Non-Existent Language)। বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষা অস্তিত্বহীন !বাংলা পক্ষ এই ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে ২০ শে মার্চ সকালে স্কুলের সামনে এক বিক্ষোভ সভা করে। সভা থেকে দাবি ওঠে অবিলম্বে এই লজ্জাজনক নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে এবং বাঙালি শিক্ষিকার চাকরি ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলার সব স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক না করার জন্য বাংলার সরকারের সমালোচনা করেন সংগঠনের নেতৃত্ব।
সব স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হবে বলে ২০১৭ সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলন, ৬ বছর হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি কেন? এমন টাই প্রশ্ন তুলে গর্গ চট্টোপাধ্যায় অবিলম্বে এই নির্দেশিকা জারি করার দাবি করেন ৷ ভারতের সব রাজ্যে স্কুলে সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক। বিজেপি শাসিত গুজরাটে গুজরাটি, বাম কেরালায় মালায়লম, তামিলনাড়ুতে তামিল, ওড়িশায় ওড়িয়া বাধ্যতামূলক। বাংলা কেন ব্যতিক্রম হবে? তিনি আরও বলেন, “বাংলার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো চুপ কেন? কাদের স্বার্থে চুপ? বহিরাগতদের ভোটের এত দাম?”
বাংলা পক্ষ এই বিষয়ে সব সময় রাস্তায় আছে। আজ আড়িয়াদহের মাটিতে যে প্রতিবাদ শুরু হল তা আগামীদিনে বৃহত্তর আকার নেবে। এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষ সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শহরাঞ্চল সংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, বাংল ছাত্রপক্ষর রণ ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন জেলার শতাধিক সহযোদ্ধা এই বিক্ষোভ সভায় সামিল হয়েছিলেন।
বাংলা পক্ষর তীব্র আন্দোলনের ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে উক্ত স্কুলের বাঙালি শিক্ষিকাকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দেন। সংগঠন থেকে মনে করা হয় এটি বাংলা পক্ষর জয়, বাঙালি জাতির জয়। সংগঠন থেকে জানানো হয়, আগামী দিনে কোন স্কুল বাংলা ভাষা মুছে দেওয়ার এরকম ঘৃণ্য চক্রান্ত করলে বা কোন বাঙালি শিক্ষক/ শিক্ষিকাকে এরকম অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হলে বাংলা পক্ষ তার পাশে থাকবে এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post